জয়পুরহাটের পাঁচবিবি রেল স্টেশনের দুরবস্থা

এস কে মুকুল, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত জয়পুরহাটের পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশনে অদ্যাবধি আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া লাগেনি। যদিও প্রতিদিন শতশত যাত্রী এ স্টেশন দিয়ে যাতয়াত করে। টিকিট বিক্রির মাধ্যমে সরকার যথেষ্ট রাজস্ব পেলেও নেই স্টেশনের উন্নয়ন ও ভালো যাত্রীসেবার কোনো ব্যবস্থা। এখানে ৬টি আন্তঃনগর ও ২টি মেইল ট্রেন যাত্রা বিরতির পাশাপাশি মালবাহী ট্রেনও নিয়মিত দাঁড়ায়।

এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, পাঁচবিবি থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি আজও বাস্তবায়িত হয়নি। পাঁচবিবি স্টেশনের প্লাটফর্মটি অধিক নিচু হওয়ায় শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ ছাড়াও চিকিৎসার জন্য রোগীদের ট্রেনে ওঠা-নামায় অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া প্লাটফর্মটির দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় আন্তঃনগর ট্রেনের এসি বগিগুলো প্লাটফর্মের বাইরে দাঁড়ানোর ফলে যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে-নামতে অনেক বেশি কষ্ট হয়। সেই সাথে স্টেশনের বিশ্রামাগারটির অবস্থাও তেমন ভালো না। করোনাকালে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বিশ্রামাগারটি একেবারে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়েছে পড়েছে। অন্যদিকে বসার চেয়ারগুলো একত্রে জড়ো করে রাখা হয়েছে।

স্টেশনের মুখেই পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের অবস্থা আরও করুণ; ময়লা-আবর্জনায় ভরা। পঁচা পানির গন্ধ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে অল্প সময়ও যাত্রীদের ওই জায়গায় অবস্থান করা দুরূহ হয়ে পড়ে।

সাইফুল ও আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন যাত্রী জানান, ট্রেনের পাদানি থেকে প্লাটফর্ম অধিক নিচু হওয়ায় আমাদের মতো অনেক যাত্রীর ট্রেনে নামতে-উঠতে বেশ ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়।

তারা আরও বলেন, শিশু ও রোগীদের ক্ষেত্রে কষ্ট বেশি হয়। এ জন্য প্লাটফর্মটি আর একটু উঁচু করলে সবার জন্য ভালো হতো।

পাঁচবিবি স্টেশন মাস্টার আব্দুল আওয়াল জানান, স্টেশনের বেশকিছু সমস্যার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। রেলের রাজশাহী অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহো ও পাকশীর ডিআরএম স্যার কিছুদিন পূর্বে পাঁচবিবি স্টেশনটি পরিদর্শন শেষে এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।