নোয়াখালী জেলা আ’লীগ সম্মেলনে এমপি ও মেয়র গ্রুপের সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত

বদিউজ্জামান তুহিন, নোয়াখালী থেকে : জেলা আ’লীগ সম্মেলনে এমপি ও মেয়র গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে ভর্তি ৬০ জন, গুলিবিদ্ধ যুবলীগ নেতাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলনে প্যান্ডেল দখলকে কেন্দ্র করে জেলা শহরে দু’গ্রুপে সংঘর্ষে ৭ জন গুলিবিদ্ধ সহ আহত ১৩০ জন, হাসপাতালে ভর্তি ৬০ জন। নোয়াখালী জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে প্যান্ডেল দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী এমপি সমর্থক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় দু’গ্রুপের মধ্যে চেয়ার মারামারি শুরু হয়ে এক সময় মেয়র সোহেল গ্রুপকে ধাওয়া করে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দিলে সোহেল গ্রুপ রাস্তায় এসে লাঠি সোটা নিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে এবং একরাম গ্রুপকে ধাওয়া করলে পুনরায় নোয়াখালী শহরে গণপূর্ত ভবন ও আমানিয়া হোটেলের সামনে দু’গ্রুপে রনক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় পুলিশের সদস্যদের হুইসেল বাজিয়ে ধাওয়া করতে দেখা যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে শট গানের গুলিতে পিয়াস (২৫) ও আরিফ (২৮) গুলিবিদ্ধ হয় এবং সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় মেয়র গ্রুপের যুবলীগ কর্মী আরিফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। । আহতদের মধ্যে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ৬০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে গুলিবিদ্ধ আরিফের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আহতদেরকে উভয়পক্ষ নিজেদের সমর্থক বলে দাবী করেছে। এদিকে, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের ব্যানার, পেষ্টুন ও বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। দফায় দফায় ককটেল ও ফাঁকা গুলি বিস্ফোরণের ঘটনায় মাইজদী শহরের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দিকবিগিক ছুটাছুটি করে। এ নিয়ে টান টান উত্তেজনা চলছে।