জামালপুরে মসজিদে শিশু ধর্ষণের অপরাধে শিক্ষকের ৮ বছর সশ্রম কারাদন্ড

এমরান হোসেন, জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে মসজিদের ভিতর শিশু ধর্ষণের অপরাধে মাদ্রাসা শিক্ষক মনিরুল ইসলামকে ৮ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এই রায় দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ভাটিপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছোট মেয়ে স্বপ্না বেগম ও তার জামাতা শামছুদ্দিন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করায় তাদের ৫ বছর বয়সী শিশু কন্যা হামজা শেখ নানী ছকিনা বেগমের কাছে থাকত। শিশু হামজাকে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গারগ্রাম জামে মসজিদে ইসলামিক ফাইন্ডেশন পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক শিশু শিক্ষালয়ে ভর্তি করা হয়। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সকালে শিক্ষালয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত হুজুর মনিরুল ইসলাম সব ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ছুটি দিয়ে শিশু হামজা শেখকে মসজিদের ভিতর ধর্ষণ করে। পরে বাড়ি ফিরে গেলে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরের দিন শিশু হামজার নানী ছকিনা বেগম বাদী হয়ে ভাঙ্গারগ্রাম এলাকার শুক্কুর আলীর ছেলে হুজুর মনিরুল ইসলামকে (৪২) আসামী করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ১৪ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ গ্রহণের পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)এর ১০ ধারায় আসামী মনিরুল ইসলামকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। একি সাথে ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদয়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পিপি এডঃ মোহাম্মদ আকরাম হোসেন ও আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডঃ মো: রেজাউল আমিন শামীম।