জাতিসংঘের দুই কর্মকর্তা হত্যায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড

এই আমার দেশ ডেস্ক

কঙ্গোতে হত্যার শিকার জাতিসংঘের কর্মকর্তা। ছবি: এএফপি

আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে জাতিসংঘের দুজন বিশেষজ্ঞকে অপহরণের পর হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

২০১৭ সালে দেশটির কাসাই এলাকায় সুইডিস নাগরিক জাইদা কাতালান এবং আমেরিকান মিশেল শার্প অপহণের শিকার হন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, সরকারি বাহিনী ও মিলিশিয়া গ্রুপের মধ্যে লড়াই শুরু হলে তারা সেখানে গণকবর নিয়ে তদন্ত করছিলেন।

তাদের সঙ্গে দোভাষীর কাজ করা বেতু তিসিন্তেলাকেও সে সময় হত্যা করা হয়। তাদের লাশ পাওয়া যায় অপহরণের ১৬ দিন পর।

সুইডিস নাগরিক কাতালানের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়।

জাতিসংঘের দুই কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় তখন সংস্থাটির প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের সর্বোচ্চ চেষ্টার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।

২০১৭ সালে কাসাইতে সংঘাতে শতাধিক লোক মারা যান।

মূলত তার আগের বছর ২০১৭ সালের আগস্টে সেখানকার একজন জনপ্রিয় নেতা কামভিনা সাপু নিহতের পর সংঘাত শুরু হয় অঞ্চলটিতে। সেই সংঘাতের সময় ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছিল।

চার বছরের বিচার শেষে একটি সামরিক আদালত দোষীদের সাজা দিয়ে রায় দিয়েছে।

বেশ কয়েক ডজন মিলিশিয়া সদস্যের মধ্যে দোষ প্রমাণ হওয়ায় ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সামরিক আদালত। তবে কঙ্গোতে মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ থাকায় তাদের সাজা এখন আমৃত্যু কারাদণ্ড হতে পারে।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ, হত্যাসহ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

আদেশ অমান্য করায় কর্নের জেন ডি ডিউ ম্যাম্বোকে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। আদালত এক সাংবাদিক ও এক পুলিশ সদস্যকে অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।