জলঢাকায় ভারতীয় অবৈধ গরুর জমজমাট ব্যবসা, হাট ইজারাদারকে ইউএনও’র সতর্ক

মনিরুজ্জামান লেবু, নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর জলঢাকায় চলছে বিভিন্ন চোরাইপথে আসা অবৈধ ভারতীয় গরু ও মহিষের জমজমাট ব্যবসা। বিক্রি বন্ধে হাট ইজারাদারকে সতর্ক করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব হাসান।

উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট মীরগঞ্জহাটে মঙ্গলবার ও শনিবার হরিয়ানা প্রজাতীর ভারতীয় শতাধিক গরু এবং শতাধিক অসুস্থ মহিষ হাটে নিয়মিত কেনাবেচা হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এসময় ওই সকল ভারতীয় পশুর গায়ে একটি বিশেষ সংখ্যা ব্যবহার করা হয়।

বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু ব্যবসায়ীরা এসে এ সকল ভারতীয় পশু ক্রয় করে ট্রাকে করে নিয়ে যান দেশের বিভিন্ন এলাকায়। হাটে ভারতীয় গরুর দাম কম হওয়ায় এবং চাহিদা বেশি থাকায় দেশি গরু ও খামারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের পশুর ন্যায্য মূল্য থেকে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী,ভারতীয় পশু বাংলাদেশে আমদানি করতে হলে নির্দিষ্ট করিডোরে কাষ্টমস এর ভ্যাট পরিশোধের রশিদ, ট্যাক্স প্রদানের রশিদ থাকা বাধ্যতামূলক হলেও মীরগঞ্জহাটে আগত ভারতীয় পশুগুলোর মালিকগন তা দেখাতে পারেন না।

একটি বিশেষ সিন্ডিকেটের মাধ্যেমে শুধুমাত্র সিমান্ত এলাকার একটি হাটের রশিদ দিয়েই স্থানীয়ভাবে ম্যানেজ করে ওই হাটে বিক্রি হচ্ছে এসব ভারতীয় অবৈধ পশু।এতে করে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছেন সরকার।এবিষয়ে এতদিনে কোনে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি উপজেলা প্রশাসন।

গত কয়েকদিন থেকে স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (অবৈধ ভারতীয় গরু মহিষ বিক্রি বন্ধে নিরব প্রশাসন)লেখালিখি করলে তা ব্যপক সমালোচনার সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। পরে নড়েচড়ে বসে জলঢাকা উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার বিকেলে মীরগঞ্জহাটে ভারতীয় অবৈধ পশু বিক্রি বন্ধে হাট ইজারাদারকে সতর্ক করেছেন
ইউএনও।

এবিষয়ে বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব হাসান জানান , ওই হাট ইজারাদার কে অাইন মেনে হাট চালানোর জন্য সতর্ক করা হয়েছে, পরবর্তী হাট থেকে তা মানা না হলে অাইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।