জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশবাসীর প্রত্যেককেই নির্ভয়ে করোনার ভ্যাকসিন (টিকা) নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষকে করোনা মহামারি থেকে মুক্ত রাখতে ত্বরিত গতিতে টিকা আনা হয়েছে এবং সবাইকে সপরিবারে টিকা নিতে ও জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজকে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪১ তম জাতীয় সমাবেশ ২০২১- এর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদকপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনার ভ্যাকসিন (টিকা) নিতে নিবন্ধনের জন্য ইতোমধ্যেই ডিজিটাল সেন্টার করা হয়েছে এবং ঐ ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে সবাই নিবন্ধন করতে পারবেন। সবাই নিজে এবং পরিবারের সব সদস্যসহ  যেন টিকা নেয় সেদিকে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আনসার সদস্যরা গ্রামের মানুষকে একটু উদ্বুদ্ধ করবেন। এই মহামারি, যেটা আজ সারা বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছে তার হাত থেকে অন্তত বাংলাদেশের মানুষ যেন মুক্তি পায়। সে লক্ষ্যেই আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আপনারা টিক নিন। আপনারা সুরক্ষিত থাকুন। টিকা নিয়ে নিজেকে আরও সুরক্ষা দেন। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আনসার-ভিডিপি সর্বদা যেকোনও কাজে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। বিএনপি-জামায়াত জোট অগ্নি সন্ত্রাসে জীবন্ত মানুষগুলোকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করছিল। রেলের ওপর আগুন ধরানো অথবা রেললাইন সরিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষ হত্যা করার মতো অমানবিক কাজে বিএনপি-জামায়াত জোট সম্পৃক্ত ছিলেন। আর সেসব জায়গায় এবং সারা বাংলাদেশে মানুষের জানমাল রক্ষায় আনসার বাহিনীকে আমরা সম্পৃক্ত করেছিলাম এবং তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সেই সময় অগ্নি সন্ত্রাস মোকাবিলা করেছেন।

আনসার-ভিডিপির কল্যাণে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আনসার-ভিডিপির সুযোগ-সুবিধা, কল্যাণের দিকটা সব সময় আমাদের নজরে আছে। আনসার-ভিডিপি যে মানুষের সেবায় কাজ করে তার জন্য পদক দেওয়া বা সম্মান দেওয়া সেটা আমরাই প্রথম চালু করি এবং তারই স্বীকৃতিস্বরূপ সেবা ও সাহসিকতা পদক সেটা আমরা প্রবর্তন করি।

আনসার-ভিডিপি এর নতুন পোশাকের ডিজাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই পছন্দ করে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে বলেন, প্রতিটি বাহিনীর নিজস্ব পোশাক আছে। কাজেই আমরা সেই পাকিস্তান আমলের খাকি পোশাক বা আনসার বাহিনীর বিভিন্ন সময়ে যে পরিবর্তন এসেছে সেগুলো বাদ দিয়ে এখন নতুন ‘সেরেমনিয়াল’বা  উৎসব পোশাক এবং কমব্যাট পোশাক প্রদান করেছি। অন্যান্য বাহিনীরও কমব্যাট পোশাক আছে। কাজেই আনসার বাহিনী বাদ থাকবে কেন? একইসাথে আজকের এই পোশাকের রঙ এবং ডিজাইন আমি নিজেই পছন্দ করে দিয়েছি। আশা করি আপনাদের সবার পছন্দ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষা পাবে : উন্নত জীবন পাবে। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত হবে। বাংলাদেশের মানুষ উন্নত নাগরিক সুবিধা পাবে, উন্নত জীবন পাবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ এবং সেটাই আমরা করতে চাই।