চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের ৪৪তম বর্ষপূর্তি উৎসব উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের আযোজনে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী, মুজিব শতবর্ষ ও চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের ৪৪তম বর্ষপূর্তি উৎসবের প্রথম দিন নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

প্রথমে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ঋতিকা, মিত্তিকা ও রিয়া রহমান। প্রধান অতিথি বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) সাজিয়া আফরিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামানকে শুভেচ্ছা স্মারক ও উত্তরীয় প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। অনুষ্ঠানের প্রথমে শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ও দেশবরেণ্য কবি নজমুল হেলাল।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বন্দুকের নলের চেয়ে কলমের শক্তি বেশি। যুদ্ধ মাঠে হয় আর টেবিলে শেষ হয়।সাহিত্য হচ্ছে সমাজের অসঙ্গতিগুলো সুন্দরভাবে কলমের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা এবং সবাইকে উদ্ধুদ্ধ করা যাতে সমাজ,দেশ ও বিদেশের বাস্তব পেক্ষাপট সুচারুরুপে উঠে আসে। যুগে যুগে কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় তাঁরা তাদের লেখনির জন্য জেল খেটেছেন। আপনারা বাস্তব লেখনির মাধ্যমে সমাজের পরিবর্তন করতে পারেন। বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। আপনারা বেশি বেশি বই পড়বেন।

চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের সভাপতিত্বে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেন বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ রেজাউল করিম, দামুড়হুদা ওদুদ শাহ কলেজের প্রভাষক মিজানুর রহমান মন্ডল, উদিচীর সাধারণ সম্পাদক হাবিবি জহির রায়হান, সংলাপের সাধারণ সম্পাদক আহসান খান, আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ওমর আলী, কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম প্রমুখ।

আলোচনা পর্ব শেষে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আসগর ফটিক,বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম ছারোয়ার সিদ্দিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম শান্তি প্রমুখ।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ শেষে কবিতা পাঠ করেন এম এ মামুন, চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু, এম এ হামিদ, ইদ্রিস মন্ডল, ইব্রাহিম খলিল, আশিকুজ্জামান আসাদ, জুবায়ের হাসান, রাকিব হাসান, আনছার আলী, সালমা খাতুন, মুরশিদ,ফয়সাল আহমেদ, নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মন্ডল, গোলাম কবীর মুকুল, রাবেয় খাতুন, হামিদুল ইসলাম আজম, হাবিবি জহির রায়হান, ডাঃতোফাজ্জল হোসেন,সার্থক আলীম,কবি নজমুল হেলাল, কায়কোবাদ রতন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজির আহমেদ।

কবিতা আসরের পর চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত প্রশিক্ষক আব্দুস সালাম তারার নেতৃত্বে একঝাঁক শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন এ্যালবার্ড বিশ্বাস, রিচার্ড রহমান, সুমন ইকবাল,কাজল মাহমুদ, হোসেন জাকির, নটরাজ হারুন, সাজ্জাদ হোসেন, হোসেন ফারুক, আহমেদ বেলাল, মাসুদ রানা প্রমুখ।