এইচ এম হাকিম, স্টাফ রিপোর্টারঃ চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন গ্রুপিং রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে শেষ হলো চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। ৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা।
সভায় প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ তার বক্তব্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের মধ্যে থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে আর যাই হোক অন্তত আওয়ামী লীগ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশ নেয়না সেটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল। নির্বাচনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। আমরা জানি ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে দেশের সাধারন মানুষের ভোটাধিকার। দেশের মানুষের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হয়।’
বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা শহরের কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত ওই বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাছিম। প্রধান বক্তা ছিলেন সাংগঠিনক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।
অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠিনক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন এমপি, পারভীন জামান কল্পনা ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি প্রমুখ।
সভাটি পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ। এর আগে সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার।
দীর্ঘ ৬ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হলো। এ সভা ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যেও আগ্রহ ও উদ্দীপনার কোন কমতি ছিল না।
জানা যায়, এই বর্ধিত সবাকে ঘিরে যশোর বিমান বন্দরে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতাদের রিসিভ সনে গিয়ে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা জেমস অলক চৌধুরী, এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সদস্য এ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির এর নেতৃত্বে বিরাট জনবল নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।