চুয়াডাঙ্গায় মুদি ও চায়ের দোকানেই ওষুধ বিক্রি

তারিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ঃচুয়াডাঙ্গা শহরসহ চারটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন মুদি ও চায়ের দোকানে দেদার বিক্রি হচ্ছে ওষুধ। ডাক্তারি পরামর্শ ও ওষুধ বিক্রির বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই এসব দোকানে জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ওষুধ কেনাবেচা হচ্ছে। এসব ওষুধের মান ও মেয়াদ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এমনভাবে ওষুধ কিনে সেবন করার মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।কয়েকদিন ধরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চা ও মুদিদোকানের পাশাপাশি প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিক, শরীর ও বুকে ব্যথার মতো ওষুধ বিক্রি করছেন এসব দোকানি। এর জন্য কোনো ধরনের চিকিৎসাপত্রের প্রয়োজন পড়ছে না। শুধু রোগের উপলক্ষণ বললেই ওষুধ দিচ্ছেন এসব দোকানি। গ্রামের অসচেতন অনেক মানুষই এখন এসব দোকান থেকে ওষুধ কিনে নিজেরা সেবন করছেন। এমনকি শিশু ও বয়স্কদেরও সেবন করতে দেয়া হচ্ছে।
তবে চিকিৎসাপত্র বা অনুমোদন ছাড়াই ওষুধ বিক্রি করলেও এসব দোকানি এটিকে ছোট রোগের ওষুধ মনে করে নির্ভার থাকতে চাইছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মুদি ও চায়ের দোকানদার জানান, তারা জটিল কোনো রোগের ওষুধ বিক্রি করছেন না। গ্যাস, মাথাব্যথা, জ্বর, কাশি এ ধরনের রোগের ওষুধ বিক্রি করছেন। যেটিতে ক্ষতি হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনাই নেই। তাদের ভাষায়, তারা উপরন্তু মানুষকে উপকারই করছেন। মুদি ও চায়ের দোকানে ওষুধ বিক্রির কোনো ধরনের অনুমতি আছে কিনা, জানতে চাইলে এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তারা।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার ড্রাগ সুপার  আহমেদ বলেন, লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ। লাইসেন্সকৃত দোকানেও প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি করা যাবে না। ফার্মেসি ছাড়াও অন্য দোকানে ওষুধ বিক্রির বিষয়ে আমরা কিছু তালিকা হাতে পেয়েছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালালেও আমাদের যাওয়ার খবর পেয়ে যাচ্ছে তারা। তবে আমরা দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
একই কথা জানান, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসানও। তিনি বলেন, মুদি ও চায়ের দোকানিরা কোনোভাবেই ওষুধ বিক্রি করতে পারেন না। এটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে জনগোষ্ঠী মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে। প্রশাসনকে জানিয়ে এসব দোকানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।