চুয়াডাঙ্গায় ব্ল্যাকমেইলিং করে স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করে নির্যাতন!

নবম শ্রেণির কিশোরী ছাত্রীকে ভয়ভীতি ব্ল্যাকমেইল ও অবশেষে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করে নির্মম নির্যাতন ও অতপর সেচ্ছায় মেয়ে তালাক দিলে তার খালা ফরিদা পারভীনকে রাস্তায় পথরোধ করে মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে খাসপাড়া গ্রামের রহমানের ছেলে বখাটে বকুল, রাজু ও শামীমের বিরুদ্ধে।  ভুক্তভোগী কিশোরী সড়াবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। এ নিয়ে চলছে গ্রামজুড়ে তীব্র সমালোচনার ঝড়।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,  চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াই টুপি ইউনিয়নের খাসপাড়া গ্রামের প্রবাসী রফিকুল ইসলামের মেয়ে সাজিয়াকে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল ও আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে জোর করে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে একই গ্রামের রকমানের ছেলে বখাটে  বকুল কিন্তু বিয়ের পর থেকেই অসহায় কিশোরীর উপর চলে নির্মম নির্যাতন। উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী সাজিয়া তাকে তালাক দিলে রাগে বখাটে বকুল তার সাবেক খালা শাশুড়ি ফরিদা পারভীন  কে পথ রোধ করে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে তখন গাড়ির ড্রাইভার বিষয়টি দেখে দ্রুত তাকে রক্ষা করে।
স্থানীয়রা জানায় রহমানের ছেলে বকুল গ্রামের ভিতর একজন উশৃংখল ও বখাটে কিশোর গ্রামের প্রায় সবার সাথে বিভিন্ন সময় ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে থাকে এবং তারা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলারও সাহস পায় না। তার আরো জানায় গত এক মাস আগে রফিকুলের নাবালিকা মেয়েকে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে তাকে জোর বিয়ে করে বিয়ের পর তাদের অত্যাচার সইতে না পড়ে মেয়েটি নিজেই তাকে ডিভোর্স দিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটির খালাকে রাস্তায় একা পেয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে বখাটে বকুল ও তার বন্ধু রাজু, শামীম। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে গ্রামের শান্তি ফিরে আসবে না।
ফরিদা পারভীন জানায়, তার বোনের মেয়ে সাজিয়া তার গ্রামের বাড়ি মহেশপুরের  উজ্জলপুর দুইদিন আগে গিয়েছিল তাকে তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার খাসপাড়া রেখে আসার পথে সড়াবাড়িয়া ঈদগাহ কাছে গাড়ি পথরোধ করে টেনে হিচরে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধোর করতে থাকে তখন গাড়ি চালক দৌড়ে এসে উদ্ধার করে।
কিশোরী সাজিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভয়-ভীতি ও ব্ল্যাকমেইল করে আসছিল প্রতিবেশী বকুল গত একমাস আগে স্কুল থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে কিন্তু বিয়ে করার পর নানান ভাবে শারীরিক নির্যাতন ও বিভিন্নভাবে কটু কথা বলতে থাকে উপায় অন্তর না পেয়ে গত ৪/৭/২০২২ তারিখে তাকে ডিভোর্স দেওয়া হয়।  তাই রাগে বকুল তার খালাকে রাস্তার মধ্যে মারধর করে।
অভিযুক্তদের বাড়িতে পাওয়া না যাওয়ার জন্য তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।