নিজস্ব প্রতিবেদক
নাম দুধ মল্লিক। বয়স ৭১ ছুঁইছুঁই। দুই চোখই অন্ধ। সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের ভিড়ে ছেলের হাত ধরে ভোটকেন্দ্রের কক্ষে ঢুকলেন তিনি। পরে কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বললেন পছন্দের প্রার্থীর নাম। সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সহায়তায় বৃদ্ধ দুধ মল্লিকের পছন্দের প্রার্থীকে তার ছেলে হেলাল উদ্দীন ভোট দেন।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বড়শলুয়া উত্তরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এভাবেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন অন্ধ দুধ মল্লিক।
জানা গেছে, দুধ মল্লিকের বয়স বাড়ার সঙ্গে তিনি প্রথমে চোখে কম দেখতেন। প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সে তার দুই চোখই পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যায়।
ভোট দেওয়ার পর বৃদ্ধ দুধ মল্লিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি বড় শলুয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে পেরেছি। আমার পছন্দ মতো আমার নিজের ছেলে সিল মেরেছে। ওখানে ভোটের অফিসাররাও ছিল। তারা সহযোগিতা করেছেন। খুব ভালো লাগছে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে।
কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ বলেন, তিনি চোখে দেখেন না। আমাকে বলেছে আমি যেন উনাকে সাহায্য করি। পরে উনি যাকে যাকে বলেছেন আমিসহ সকলের সামনেই ওনার ছেলে প্রতীকে সিল দিয়ে বক্সে ফেলে দেন।
প্রসঙ্গত, সীমানা জটিলতার কারণে দীর্ঘ ১১ বছর পর আজ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীসহ চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছে ১৬ হাজার ৭৪ জন। ১০টি কেন্দ্রের ৫০টি বুথের ভোটগ্রহণ করা হয়।