চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় লম্পট মিঠুনের শাস্তির দাবীতে ফুসে উঠেছে গ্রামবাসী

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা): চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ব্যবসায়ী লম্পট মিঠুনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মহল্লাবাসী। মহল্লার একাধিক গৃহবধূকে উত্যক্তসহ ধর্ষনের অপচেষ্টাও অভিযোগ উঠেছে। । অনেকে লোকলজ্জার ভয়ে মুখ না খুললেও লম্পট মিঠুনকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করেন ভুক্তোভোগীরা। কয়েকদিন পূর্বে লম্পট মিঠুন নিজ শ্যালকের স্ত্রীকেও জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।
এলাকার কয়েকজন গৃহবধু জানায়,।রাত হলেই মিঠুর ভয়ে মহল্লার যুবতী মেয়েসহ গৃহবধূরা ঘুমাতে পারেনা। সুযোগ পেলেই লম্পট মিঠুন ঘরে ঢুকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।অনেকে হয়তো গোপনে মিঠুনের কাছে ধর্ষনের স্বীকার হলেও লজ্জায় তা প্রকাশ করেনি। সম্প্রতিকালে প্রায় তিন মাসের ভিতর বেশ কয়েকটি ধর্ষন চেষ্টার ঘটনায় গ্রামবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। লম্পট মিঠুন এমন কুকর্ম করে ধরা পড়লেই তার আশ্রয়দাতা তার শুশুর যোষেফ হাত পা চেপে ধরে ক্ষমা চেয়ে পার পাই।কয়েকদিন পূর্বে লম্পট মিঠুন তারা শালার বউকে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। যা পরবর্তীতে গৃহবধূ তার পরিবারকে বললে ও গ্রামে জানাজানি হলে লম্পট মিঠুন আবারো পার পেতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তার দালালদের ম্যানেজ করে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ভুক্তভোগীরা বুঝতে পারাই তা ভেস্তে যায়। নিজেদের ভিতর ঘটনা হওয়ায় তারা মামলা না করে মিঠুনকে ধরে উত্তম মাধ্যম দিয়ে তারপর পুলিশে দেওয়ার চিন্তা করে।। বিষয়টি লম্পট মিঠুন জানতে পেরে গা ঢাকা দেয়।সচেতন মহলের অনেকে বলেন বড় কোন ঘটনা ঘটার আগে কিংবা লম্পট মিঠুন কাউকে ধর্ষন করার আগে তাকে আটক করে আইনের হাতে তুলে দেয়া হোক। হয়তো অনেক মেয়ে লম্পট মিঠুনের লালসার হাত থেকে রক্ষা পাবে। বারবার একজন মানুষ কিভাবে ক্ষমা চেয়ে পার পেতে পারে।সে তো বার বার ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে।

এদিকে, লম্পট মিঠুনের কঠোর শাস্তির দাবীতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। লম্পট মিঠুনের কঠোর শাস্তির দাবীতে একাট্টা হয়েছে মহল্লাবাসী।অনেকে বলেন এমন পাগলা কুকুরের গলায় বেড়ি না পড়ালে সে আরো অনেক ঘটনা ঘটাবে।কতবার সে মাফ চেয়ে পার পাবে।প্রশাসনের উচিৎ এমন লম্পট কে আইনের আওতায় আনা।মাদক ব্যাবসায়ী লম্পট মিঠুনকে আইনের আওতায় আনতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসীসহ ভুক্তোভোগিরা।