চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, ২১ বছর বয়সী রেজাউলের শরীরের ৫১ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

রেজাউলের মৃত্যুতে ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭০ জনে ।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি অগ্নিকাণ্ডের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল মোট নয়জনকে। তাদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ও সোহাগ নামে দুজনের মৃত্যু হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, চকবাজারে দগ্ধদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তিনজন এখনও বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি আছেন।

তাদের মধ্যে জাকিরের (৩৫) শরীরের ৩৫ শতাংশ, সেলিমের (৪৪) শরীরের ১৪ শতাংশ এবং মাহমুদুলের (৫২) শরীরের ১৩ শতাংশ পুড়েছে বলে এ চিকিৎসক জানান।

শুরুতে এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণকে শিল্পমন্ত্রী দায়ী করলেও তদন্তকারীরা এখন বলছেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আলামত তারা পাননি। গুদামের রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ থেকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে এখন মনে করা হচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিস ৬৭টি লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। তার মধ্যে ৪৮ জনের মরদেহ শনাক্ত করার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।

বাকিদের শনাক্ত করার জন্য তাদের সম্ভাব্য স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নিয়েছে সিআইডি; লাশের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে তা মিলিয়ে শনাক্ত হওয়ার পর হস্তান্তর করা হবে লাশগুলো।