চুয়াডাঙ্গায় প্রাণ কোম্পানির নামে প্রকাশ্য দিবালোকে দোকান থেকে ছিনতাই!

আরিফুল ইসলাম, চিৎলা প্রতিনিধি
আলমডাঙ্গা, চিৎলা ইউনিয়ানের হাপানিয়া গ্রামের বেল্টু স্টোরে গত বৃহস্পতিবার (২০ই অক্টোবর) সকাল নয়টা চল্লিশ মিনিটে প্রাণ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি পরিচয়ে প্রতারক চক্র আসে, সেই সময় দোকানে ছিল বেল্টু মিয়ার বড় ছেলে ফাহিম, প্রতারক চক্রের দুই সদস্যের মধ্যে একজন ফাহিমের নিকট আসে এবং লোভনীয় অফারের প্রস্তাব দেই ৭৫০০টাকার (সাত হাজার পাচশত) পণ্য ক্রয় করলে কম্পানির পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার পাবেন) এই প্রস্তাবে ফাহিম রাজি না হলে প্রতারক চক্রের ওই সদস্য পিতা বেল্টুর কাছে ফোন দিতে বলে এবং তার সাথেও একই কথা বলে প্রতারক চক্র, এই অফারে বেল্টু রাজি না হলে ফাহিমের অগোচরেই ফোন কেটে দিয়ে মিথ্যা অভিনয় করে কথা বলতে থাকে প্রতারক চক্রের ওই সদস্য এবং ফাহিমকে বলে ক্যাশ ডইয়ারে। ৩০’৬০০৳ (ত্রিশ হাজার ছয়শত) টাকার বান্ডিল আছে, সেখান থেকে আমাদের টাকা দাও তখন ফাহিম গণনা শুরু করলে হাত থেকে টাকা ছিনিয়ে নেই ওই সদস্য। অন্যদিকে প্রতারক চক্রের অন্য সদস্য মটরবাইক্ চালুরাখে এই সুযোগে হাপানিয়া টু রুইথনপুরের রাস্থা ধরে পাকা রাস্তা পরিত্যাগ কোরে গ্রামের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
দোকানের মালিক বেল্টু মিয়া বলেন, দোকানের যাবতীয় মালামাল কেনার জন্য টাকা ১৪’৩০০(চৌদ্দ হাজার তিনশত) টাকা আলাদা করে গুনে রেখে আমি ছেলেকে দোকানে বসিয়ে আবাদি ফসল পর্যবেক্ষন করতে যায়, এই সুযোগে কৌশলে পুরো টাকাই (১৪’৩০০)ডাকাতি করেছে প্রাণ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি পরিচয়ে (ভুয়া) ওই প্রতারক চক্র। দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা ভালো না হওয়ায় দোকানে পুঁজিপতি নেই বললেই চলে এখন যা ছিলো তাও ডাকাতি হলো। আমার অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ এভাবে দিনের বেলায় ডাকাতি হলো, আমি চাইনা আমার মতো এমন প্রতারণার শিকার আরো অন্য কেউ হোক, সেজন্য প্রশাসনের আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হতে হবে। আমি অনুরোধ করছি পুলিশ প্রশাসন যেনো এই ব্যাপারে আরো বেশি সচেতন হয়।

এই ঘটনায় বেল্টু মিয়া আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরেছে, এমন ঘটনা সে কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না! গ্রাম বাসি তার এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর প্রাতারক চক্রের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং বেল্টু মিয়াকে বিভিন্ন ভাবে সান্তনা দিতে চেষ্টা কর করে।