চুনারুঘাটে স্বামীর টাকা আত্মসাৎ করায় স্ত্রীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট রানীগাঁও ইউপির শাহপুর গ্রামের আঃ মন্নানের পুত্র মোঃ সোহেল মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ তাসমিনা আক্তার স্বামীর টাকা আত্মসাৎ করে, কন্যা সন্তান রেখে পিত্রালয়ে চলে যাওযায় স্ত্রী তাসমিনা আক্তারসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ পারিবারিক জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন স্বামী সোহেল মিয়া। জানা যায়, মিরাশী ইউপির দ্বারাগাঁও গ্রামের মোঃ আঃ ছালামের কন্যা মোছাঃ তাসমিনা আক্তার এর সাথে মোঃ সোহেল মিয়ার বিগত ১৬-০৬-২০১৪ইং সালে বিবাহ সম্পন্ন হয়। সোহেল মিয়া বিবাহের পূর্বে ওমানে ছিলেন। তিনি ওমান থেকে এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের ৩মাস পরে সোহেল মিয়া ওমান চলে যান। পরবর্তীতে ২০১৫সালে ওমানের ভিসা বাতিল হয়ে গেলে তিনি পূনরায় দেশে চলে আসেন। তাসমিনা ও সোহেল এর কোল জুড়ে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কন্যা সন্তান তানিশা আক্তার। বয়স অনুমানিক সাড়ে ৩ বছর হবে। সোহেলের বড় ভাই মোঃ ফরিদ মিয়া আরব আমিরাতে ছিলেন এবং ছোট ভাই মোঃ জুয়েল মিয়া দুবাইয়ে ছিলেন। তাদের সহযোগীতায় সোহেল পুনরায় কাতারে চলে যান। সোহেল কাতার থেকে তার স্ত্রী তাসমিনা আক্তারের কথামতে বিভিন্ন কিস্তিতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। উক্ত টাকা দিয়ে তাসমিনা জমি বন্ধক ২লাখ ৪০হাজার টাকা আমানত রেখে বাকি টাকা ব্যয় করেন। পরবর্তীতে সোহেল আরো ৫০হাজার টাকা পাঠায়। পরে করোনাভাইরাস কালীন সময়ে সোহেল কাতার থেকে দেশে আর কাতারে যেতে পারেন নি। কাতার থেকে এসে তাসমিনা কে উক্ত টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে টালবাহানা শুরু করে। তাসমিনা কন্যা সন্তান রেখে স্বর্ণালংকার, কাপড় চোপড়, জমি বন্ধকের টাকা আত্মসাৎ করে পিত্রালয়ে চলে যায়। পরে সালিশ -বৈঠকে সমাধান না হলে মোঃ সোহেল মিয়া তার স্ত্রী মোছাঃ তাসমিনা আক্তার তার পিতা দ্বারাগাঁও গ্রামের মৃত তরাবত উল্লার পুত্র মোঃ আঃ ছালাম, মাতা মোছাঃ আউলিয়া খাতুন, ভাই মোঃ মোজাম্মেল হোসেন এর বিরুদ্ধে গত ২৬-০৬-২০২০ইং তারিখে হবিগঞ্জ পারিবারিক জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। স্ত্রী ও টাকা-পয়সা হারিয়ে স্বামী সোহেল মিয়া নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।