চারঘাটে চারদিন ধরে বিয়ের প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন, সুকৌশলে পালালোা প্রেমিক

রাজশাহী ব্যুরো/ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না) :: রাজশাহীর চারঘাটে দুই সন্তানের জননী প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে গত চারদিন ধরে। জানা যায় পরকিয়ার জের ধরে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন শুরু করে ২ সন্তানের এক জননী। আর প্রেমিক ২ সন্তানের জনক আমজেদ হোসেন পরকিয়া প্রেমিক বাড়ি থেকে পালিয়েছে । প্রমিকার হুমকি বিয়ের না করলে আত্মহত্যার করার বলে জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো এগিয়ে আসেনি কেউ। ফলে কোলের বাচ্চাকে নিয়ে শীতের মধ্যে প্রেমিকা আমজেদ হোসেনের বাড়ীর বারান্দায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন ওই গৃহবধু। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। অনশনরত ওই গৃহবধু জানান, তার স্বামী মারা গেছেন গত ২ বছর আগে। এরপর থেকে প্রতিবেশী উপজেলার ভায়ালক্ষিপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমজেদ হোসেন বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন সময় অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিতো। বিষয়টি ওই গৃহবধু আমজেদ হোসেনের স্ত্রীসহ তার পরিবারের লোকজনদের জানালেও তারা এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

এক পর্যায়ে আমজেদ হোসেনের অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখান করে ওই গৃহবধু গত কয়েকদিন আগে নিজ স্বামীর ভিটে মাটি ছেড়ে পেটের দায়ে রাজশাহী শহরে পালিয়ে এসে একটি ঘর ভাড়া করে বসবাস শুরু করে। এখানেও এসে প্রতারক প্রেমিক আমজেদ হোসেন ওই গৃহবধুকে আবারো বিয়ের প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায়ে সরল বিশ্বাসে আমজেদ হোসেনের ডাকে সারা দিলে ওই গৃহবধুর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা শুরু করে।

গত শুক্রবার আমজেদ হোসেন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই গৃহবধুকে তার নিজ বাড়ীতে আসতে বলে। গৃহবধু আমজেদ হোসেনের বাড়ীতে এসে বিয়ের দাবি জানালে সুকৌশলে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে ওই গৃহবধু বিয়ের দাবিতে আমজেদ হোসেনের বাড়ীতে অনশন শুরু করেন। গৃহবধুর দাবি আমজেদ হোসেন আমার সব শেষ করে ফেলেছে। এখন সে বিয়ে না করা পর্যন্ত তার বাড়ী ছাড়বো না এতে আমার জান চলে যাক , তবুও রাজি। এ বিষয়ে আমজেদ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমাক পরিকল্পিত ভাবে ফাসানো হয়েছে। মানসম্মানের ভয়ে আমি বাড়ী থেকে পালিয়েছি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এটির সমাধান করা হবে।

ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহাকুল ইসলাম অনশনের কথা শিকার করে বলেন, অভিযুক্ত ব্যাক্তি পলাতক রয়েছেন। এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী বুলবুল বলেন, মিলিক লক্ষিপুর গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সঙ্গে নিয়ে পলাতক ব্যাক্তিকে হাজির করে এর একটা সুষ্ঠ সমাধানের চেষ্টা করা হবে। মেয়েটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সমিত কুমার কুন্ডু বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ কোন ধরনের অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ করলে আইনগত ব্যসস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্র্তা।্