চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কার পেলেন

মোঃ বেল্লাল হোসেন নাঈম,
স্টাফ রিপোর্টারঃ

নোয়াখালীর শ্রেষ্ঠ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্বাচিত হয়েছেন চাটখিল থানার মোঃ আবুল খায়ের।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম তাকে শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে নির্বাচিত করেন।

থানা সূত্রে জানা যায়, চাটখিল থানার ওসি মো. আবুল খায়ের মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার, কমিউনিটি পুলিশিং ওয়ারেন্ট তামিলকারী এবং দাফতরিক বিভিন্ন কাজসহ সার্বিক দিক বিবেচনায় জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। এর আগেও টানা দুই মাস শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন। তার এই সাফল্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

সভায় নোয়াখালীতে নভেম্বর মাসের কার্য সম্পাদনার ভিত্তিতে চার ক্যাটাগরিতে এবার ১০ পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। চার ক্যাটাগরি হলো ‘চৌকস কার্য সম্পাদন’, ‘গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটনকারী’ ‘সর্বোচ্চ প্রসিকিউশন দাখিলকারী’ এবং ‘বিশেষ পুরস্কার’। এই চার ক্যাটাগরিতে সেরা পুলিশ সদস্যদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা বলেন, মাসিক কল্যাণ সভায় নভেম্বর মাসের অপরাধ দমন ও সার্বিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে আটজন এবং বিশেষ পুরস্কার হিসেবে দুইজনকে নগদ টাকা ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে এএনএম সাইফুল ইসলাম খানকে (চাটখিল সার্কেল) শ্রেষ্ঠ সার্কেল ও মো. বিল্লাল হোসেনকে (কোম্পানীগঞ্জ থানা) শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. শাহ ইমরানসহ সব থানার ওসিগণ উপস্থিত ছিলেন।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম স্যারের নির্দেশনায় জনবান্ধব পুলিশের দৃষ্টান্ত স্থাপনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার এ অর্জনের পিছনে থানার সব এসআই, এএসআই, কনস্টেবলসহ সহকর্মীদের অবদান রয়েছে। শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কার পাওয়ায় জনগণের হয়ে কাজ করার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা এই সম্মান যেন ধরে রাখতে পারি, সাধারণ জনগণের আস্থা ভালোবাসা অর্জন করে জনগণের সঠিক সেবায় পুলিশের সম্মান ধরে রাখতে পারি।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সহকর্মীদের এসব অর্জন দেখে ভালোই লাগে। যারা ভালো কাজ করছেন তাদের আরও বেশি পুরস্কার দেওয়া হবে। জেলায় যেকোনো অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিষয়টি আইনের আওতায় আনছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমারা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।