চট্টগ্রামে বিবর্ণ চিটাগং

এই আমার দেশ ডেস্ক : চট্টলা, চাটগাঁও, পোর্ট ল্যান্ড, ইসলামাবাদ, সাগরিকা কত নামে ডাকি আমরা চট্টগ্রামকে। এগুলো বন্দর নগরীর পুরনো নাম। এমনই নিকট অতীতের এক নাম চিটাগং। ইংরেজি ওই নামও এখন শুধু চট্টগ্রামে এসে ঠেকেছে। কিন্তু বিপিএলে সাগরিকার দলটি আর নাম বদলায়নি। চিটাগংই আছে। সঙ্গে যুক্ত আছে ভাইকিংস। নামেই যেন মুশফিকদের বিপত্তি হয়েছে। নাহলে আসরে দুর্দান্ত খেলা চিটাগং ঘরের মাঠে বিবর্ণ কেনো!

বিপিএল চট্টগ্রাম পর্বে আসার আগে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ছিল মুশফিকের দল। অথচ এখন তারা নেমে গেছে তিনে। স্বাগতিক দর্শকদের সামনে দুই ম্যাচ খেলে হেরেছে দুটিতেই। অথচ ঢাকা আর সিলেট পর্ব মিলিয়ে তাদের খেলা সাত ম্যাচে জয় ছিল ছয়টি। চট্টগ্রামে মঙ্গলবার কুমিল্লার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে গিয়ে আরও বিপর্যয়ে চিটাগং ভাইকিংস। নির্ধারিত ১৯ ওভারে করতে পেরেছে মোটে ১১৬ রান। হারিয়েছে ৮ উইকেট।

চট্টগ্রামে রান ফুরায়ার মাঝে হঠাৎ এমন ছোট সংগ্রহের কারণ হয়তো বৃষ্টি। চিটাগং মাঠে নামতেই বাগড়া দেয় বৃষ্টি। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে টপাটপ উইকেট হারাতে থাকে ভাইকিংসরা। টেস্ট অভিষেক হওয়া সাদমান এ ম্যাচের দলে জায়গা পেয়ে ৩ বলে শূন্য করে ফেরেন। দারুণ ফর্মে থাকা ইয়াসির আলীও করতে পারেননি কোন রান। দলের সেরা তারকা মুশফিক ফিরে যান ৬ রান করে।

দলকে ভরসা দিতে থাকেন আফগান ব্যাটসম্যান শাহজাদ। তিনি ৩৩ করে ফিরে যান। তার আগেই নাজিবুল্লাহ জাদরান, ক্যামেরুন দেলপোর্টরা আউট হয়ে ফেরেন। সাবধানী ইনিংস খেলে শাহজাদ যখন আউট হন তখন ৭ উইকেটে ৭০ রান চিটাগংয়ের। সেখান থেকে দলকে ১১৬ রানে নিয়ে যান মোসাদ্দেক। তিনি দলের হয়ে ২৫ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। চার ও ছক্কা মারেন তিনটি করে।

কুমিল্লার হয়ে এ ম্যাচেও বল হাতে দুর্দান্ত করেন ‘বুড়ো’ আফ্রিদি। তিনি ৪ ওভারে মোটে ১০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। সাইফউদ্দিন এবং ওহাব রিয়াজ ৪ ওভার করে হাত ঘুরিয়ে সমান ২৩ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া মেহেদি হাসান পান একটি উইকেট।