গৌরীপুরের ৯নং ভাংনামারী ইউনিয়নের গ্রামগঞ্জে বইছে ভোটের হাওয়া

মো. মিলন, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ): চতুর্থ ধাপে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ১০ ইউপির নির্বাচন হবে। ৯নং ভাংনামারী ইউনিয়নের গ্রামগঞ্জে বইছে ভোটের হাওয়া। স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনকে ঘিরে যেমন ভোট উৎসব, তেমনি টানটান উত্তেজনাও বিরাজ করছে। এই নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে মূল প্রতিদ্ধন্ধিতায় থাকতে পারে নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। ভাংনামারী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা আট থেকে দশ জন হলেও বিএনপি নেতারা একেবারেই নীরব। শোনা যাচ্ছে বিএনপির একজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইউপিতে সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থীদের প্রচারণায় ভোটের উৎসব তৈরি হয়েছে। তবে এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ছড়াছড়ি হলেও অন্য দলের তেমন প্রচার নেই।

আসন্ন চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউপি চেয়ারম্যান পদে সম্ভব্য ও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক সরকার, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী অধ্যাপক নূরুন্নিছা খানম শুচি, সাবেক চেয়ারম্যান মো ফজলে মাসুদ , ৯নং ভাংনামারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সার্জেন্ট অবঃ নূরুল ইসলাম আকন্দ, সহ-সভাপতি মো. সিরাজুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকীদ হাসনাত দোলন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক (রাসেল), বা.কৃ.বি, (ময়মনসিংহ) এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার (অব.) মো. রহমত উল্লাহ্, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুবুল আলম সরফুল, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো.সুজন মাহমুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য ও প্রভাষক মোহাম্মদ তৌফিকুন্নর সাদী, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আমানউল্লাহ্ আকন্দ জাহাঙ্গীর।

চেয়ারম্যান পদে যারা প্রার্থী হয়েছেন- তাদের অতীত ও বর্তমান সকল কাজকর্মের ওপর ভিত্তি করে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে তা শোনা যাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের কয়েক বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক সরকার ইউনিয়নকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়তে নির্বাচন করতে চান বলে জানিয়েছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান মফিজুন নূর খোকার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী অধ্যাপক নূরুন্নিছা খানম শুচি এবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সবার সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন এবং তেমনি তিনি পুনরায় নির্বাচিত হলে অত্র ইউনিয়নে অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করবেন । সাবেক চেয়ারম্যান মো ফজলে মাসুদ বলেন, ইউনিয়নকে একটি জ্ঞানভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর অসাম্প্রদায়িক ইউনিয়ন হিসেবে গড়তে তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সার্জেন্ট অবঃ নূরুল ইসলাম আকন্দ, সহ-সভাপতি মো. সিরাজুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকীদ হাসনাত দোলন নৌকার মাঝি হতে মাঠে তৎপর রয়েছেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক (রাসেল) দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডেপুটি রেজিস্ট্রার (অব.) মো. রহমত উল্লাহ্, ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুবুল আলম সরফুল নৌকার মাঝি হতে মাঠে তৎপর রয়েছেন। ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো.সুজন মাহমুদ জানান, দলের হাইকমান্ডের বিবেচনায় দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ডিজিটাল ইউনিয়ন গঠনের লক্ষ্যে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য ও প্রভাষক মোহাম্মদ তৌফিকুন্নর সাদী উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাসমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক ইউনিয়ন গঠনের লক্ষ্যে দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশা করছেন । একই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আমানউল্লাহ্ আকন্দ জাহাঙ্গীরও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।