গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃগাইবান্ধা জেলার বহুল আলোচিত গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হত্যার বিচার ও বাপ-দাদার জমি ফেরতসহ ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবীতে আজ ৮ ফেব্রয়ারী শনিবার দুপুর ২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের কাটামোড় এলাকায় সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটি ও আদিবাসী বাঙালী সংহতি পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাফুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন শেখ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুফল হেমব্রম, মামলার বাদী থমাস হেমব্রম, সদস্য রুমিলা কিসকু, অলিভিয়া হেমব্রম, ময়নুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সেদিনের ঘটনায় জড়িত আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ তাদেরকে কেউ গ্রেপ্তার করছেনা। অনতিবিলম্বে সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হত্যার বিচার ও জমি ফেরত সহ ৭দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবী জানান তারা। অন্যথায় কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলেও বক্তারা হুশিয়ারী দেন। এরআগে শত শত নারী-পুরুষ সাঁওতাল পল্লী মাদারপুর ও জয়পুরপাড়া থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ- দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়ক প্রদক্ষিণ করে মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সাহেবগঞ্জ ইক্ষুখামারে পুলিশের উপস্থিতিতে আখ কাটতে যান রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ। সাঁওতালরা তাদের বাপ-দাদার জমি দাবী করে আখ কাটতে বাধা দেন। এসময় চিনিকল শ্রমিক, পুলিশ ও সাঁওতালদের ত্রিমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের গুলিতে তিন সাঁওতাল নিহত হন। আহত হন উভয় পক্ষের ৩০জন। উক্ত ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষ থেকে ৩৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০০-৬০০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার প্রায় ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও কোনো আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। ফেরত পায়নি তাদের বাপ-দাদার জমি।