গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের উপর হামলা করে নিজেই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

কাজী ওহিদ-মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) থেকেঃ- গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ননিক্ষীর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনিত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ মোঃ রনি আহম্মেদ গতকাল – ২২ ডিসেম্বর বুধবার সকালে ৭নং ওয়ার্ড বনগ্রাম ও বনগ্রাম জলিরপাড় বাজারে দোকানদার ও জনগনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে থাকে।

হঠাৎ ননিক্ষীর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দী শেখ মজিবর রহমানের নাতী আশিক ,বাদল,সাগর ও রাকিব সহ আরো কয়েকজন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ মোঃ রনি আহম্মেদ ও তার লোকজনকে হোন্ডা দিয়ে ধাক্কা দিয়ে গালি গালাজ করতে থাকে। চেয়ারম্যান রনি আহম্মেদ তাদেরকে গালিগালাজ এর কারন জিজ্ঞাস করলেই তাকে ও তার লোকজনের উপর মারতে উদ্যত হয় এবং জলিরপাড় বাজারে ঠুকতে দেয়া হবে না,বাজার কমিটিতেও ঠুকতে দেয়া হবে না তারপর মারামারি শুরু করে দেয়।

এক পর্যায়ে সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দী শেখ মজিবর রহমান সহ বাচ্চু, বাবলু ,লাবলু,ফরিদা, ভাগ্নে রাজা ,সজীব , ভাগ্নী রাজী , মজিবরের ছেলে শামীম , সুমন এসেই চেয়ারম্যান রনি আহম্মেদ ও তার লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি শুরু করে ও চেয়ারম্যান রনিকে বাজার হতে চলে যেতে বলে এবং চেয়ারম্যানের দুইজন সমর্থকের মাথায় আঘাত করে ফাটিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে রনি আহম্মেদের সমর্থকরা ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত হয়ে মজিবর,বাচ্চু, লাবলু ও রাজিয়া সহ তার লোকজনকে গণধোলাই দেয়। এক পর্যায়ে শেখ মজিবর রহমান ও তার লোকজন ধাওয়া খেয়ে বাজার থেকে বাহির হয়ে যায়।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের দুইজন সমর্থক মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দী শেখ মজিবর ও তার ভাগ্নী রাজী রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে । এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন মামলার খবর পাওয়া যায়নি।