গোপালগঞ্জের দুর্বৃত্তের ছুরিরকাঘাতে মহিলা নিহত

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি- গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের পাইকদিয়া গ্রামে দূর্বৃত্তের ছুরির আঘাতে ঝিমি আক্তার (৪০) নামে এক মহিলা নিহত হয়েছে। তার স্বামী নুর আলম মুন্সী (৫০) গুরুত্বর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ৪ জুলাই সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে পাইকদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় জনগণ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের পাইকদিয়া গ্রামের আহত নূর আলম মুন্সির সাথে একই এলাকার সেলিম মোল্লার সাথে টাকা লেনদেনের ঘটনা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ঝামেলা চলছিল। গত ৩ জুলাই আনুমানিক রাত ২ টার দিকে সেলিম মোল্লা ও ফারুক মোল্লা টাকা লেনদেনের বিষয় নিয়ে সালিসি মীমাংসার জন্য নূর আলম ও তার স্ত্রী ঝিমি আক্তারকে ডেকে নিয়ে মিমাংসায় বসে। পরবর্তীতে সালিস মিটিং এ তাদের সাথে কথা কাটাকাটির জেরে সেলিম মোল্লা ও ফারুক মোল্লার সাথে অন্যান্য লোকজন মিলে স্বামী ও স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে গুরুত্বর জখম করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় স্বামী ও স্ত্রী উভয়কে চিকিৎসার জন্য মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঝিমি আক্তারকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। নূর আলম মুন্সীর অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। মুকসুদপুর থানা পুলিশ নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে নিহত ঝিমি আক্তারের ভাই হাবিবুর মুন্সী বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় ২৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৮,তারিখ -৪ জুলাই-২০২২। মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর মিয়াার নির্দেশনায় ও এস,আই কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৮জনকে আটক করেছেন। বাকী আসামীদেরকে গ্রেফতার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে এস,আই কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন।