গাজা পুনর্নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেন এরদোগান

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবরুদ্ধ গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও দখলদার ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত চলছে। এই যুদ্ধের কারণে ইসরাইলি সেনাদের ভয়াবহ বোমাবর্ষণে গাজা এক প্রকার ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। তবে যুদ্ধ বন্ধ হলে ‘গাজা পুনর্নির্মাণের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এরদোগান।

রোববার ইসরাইলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, চলমান ইসরাইলি আক্রমণের কারণে গাজায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতি অর্জিত হলে তার দেশ বিপর্যস্ত ভূখণ্ড ‘পুনঃনির্মাণ’ করবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এরদোগান জার্মানির বার্লিন থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় এ ঘোষণা দেন।

তিনি আরো বলেন, তুরস্ক ইসরাইলি বাহিনীর দ্বারা ধ্বংস করা স্কুল, হাসপাতাল, পানি এবং বিদ্যুৎ সুবিধাগুলোর ধ্বংসের জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে।

এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ঘোষণা করেন, তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনের গাজার ছাত্রদের কাছ থেকে কোনো বেতন নেয়া হবে না।

প্রেসিডেন্টের ডিক্রি অনুসারে, গাজা থেকে আসা স্নাতক ও ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের বছরের দ্বিতীয় সেমিস্টারের খরচ তুরস্ক বহন করবে।

তুরস্কের সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ সুবিধা পাবে গাজার শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার কমপক্ষে ১২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজারেরও বেশি।

গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।

এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।

বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।