গাইবান্ধায় শতাধিক ইটভাটা থাকলেও লাইসেন্স ও পরিবেশ ছাড়পত্র বিহীন চলছে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার জেলায় প্রায় শতাধিক ইটভাটা থাকলেও লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বিহীন চলছে বছরের পর বছর । সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মোটা অংকের উৎকোশ নিয়ে নিরব। ইটভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে নিয়ম নীতিকে ব্রদ্ধা অংগুল দেখিয়ে ঘনবসতি এলাকায় ও ফসলি জমিতে স্থাপন করা হলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না প্রশাসন। ফলে দিন দিন এ সব ইটভাটার সংখ্যা বেড়েই চলছে । অল্প উচ্চতার ড্রামসিটের চিমনির কালো ধোয়ায় এলাকার পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই কৃষি জমিতে ইট প্রস্তু করনের (ইটভাটা) স্থাপন করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়,সরকারি নিষেধাক্কা অমান্য করে বিভিন্ন ভাটায় কয়লার পরির্বতে জ্বালানী হিসেবে কাঠের গুড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রকাশ্যে এধরনের ঘটনা ঘটলেও কেউ তা দেখছে না। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে তথ্য অধিকার আইনে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলায় প্রায় শতাধিক ইটভাটা রয়েছে,এর মধ্যে মাত্র ৩৩টি ভাটার লাইসেন্স রয়েছে। লাইসেন্স পাওয়া ইটভাটাগুলো বেশির ভাগই স্থাপন করা হয়েছে কৃষি জমিতে ও ঘনবসতি এলাকায়। লাইসেন্স প্রাপ্তির তিন বছর পর নবায়নের নিয়ম থাকলেও নবায়ন করেনি ৮টি ভাটার মালিক। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে জোগসাজোসে নবায়ন না করে চলছে বছরের পর বছর। আর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের লাইসেন্স বিহীন চলছে ৬২টি ইটভাটা।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রায় অর্ধশত ইটভাটার মধ্যে ৪/৫টি ইটভাটার লাইসেন্স ও পরিবেশ ছাড়পত্র থাকলেও বাকীগুলি চলছে টু-পাইজে।

এদিকে কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দুষিত হয় বলে বেশি উচ্চতায় ইটের চিমনি বাধ্যতামুলক করেছে সরকার।কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিন্ম ৪৫ফুট থেকে সর্বোচ্চ ১২০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন ঝিকঝাক চিমনি স্থাপন করতে খরচ হয় ২০/২৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু ফিক্রড চিমনিতে খরচ হয় ৪/৫লক্ষ টাকা।খরচ বাঁচাতেই ভাটা মালিকরা আইনের তোয়াক্কা না করে ফিক্্রড চিমনিতে ইট পুড়ছে।

এদিকে ভাটা তৈরী ক্ষেত্রে আইন রয়েছে,পরিত্যক্ত অনাবাদি জমি,নিচু জলাশয়ের ধারে,নদীর পাশে এবং কমপক্ষে চার দিকে ১ কিঃ মিটার জন শুন্য এলাকায় ইটভাটা স্থাপনের অনুমোদন দেয়ার কথা।

কিন্তু গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় তার সম্পর্ন উল্টটা যে সব ইটভাটার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে তার বেশির ভাগই ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে ঘনবসতি এলাকায় ও কৃষি জমিতে শুধু তাই না এসব ভাটায় ইট তৈরীর জন্য কৃষি জমির উর্বর মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।