গাইবান্ধায় কোথাও কমছে পানি কোথাও বাড়ছে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
তিস্তা, যমুনা , ব্রক্ষèপুত্র নদীর পানি কোন কোন এলাকা থেকে নেমে গেলেও নতুন করে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদে ১তলা থেকে ৪ তলা পযন্ত ৫ শতাধিক গবাদীপশু নিয়ে লোকজন বসবাস করলেও পানির কারনে তারা ফিরে যেতে পারেনি ঘরবাড়িতে। ফলে অঘোষিত ভাবে অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। দীঘদিন থাকার ফলে স্বয়ং উপজেলা পরিষদে আশ্রিত লোকজনের মধ্যে অনেকেই সহ আশেপাশের দুগত মানুষজন ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
গাইবান্ধায় এখনো গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে থৈ থৈ করছে বন্যার পানি। অনেক গ্রাম এলাকার রাস্তাঘাট এখনো জেগে উঠেনি। অনেক বাড়ি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তার উপর গত পরশু থেকে নতুন করে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাই ইতিমধ্যে যারা আশ্রয় থেকে বাড়ি ফেরার আশা করেছিলেন তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। এক সাথে বাস করছেন গবাদী পশু নিয়ে। নি¤œ আয়ের মানুষেরা কাজে যেতে না পারায় বন্ধ হয়েছে আয়ের পথ। এদিকে ত্রাণ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বানভাসীরা। তারা গবাদী পশুর সাথে গদাগাদি করে আছেন ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদে।
আবুল কালাম জানান ,আমারা ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদে ৫শ গরু ও অন্তত ১হাজার লোক একসাথে আছি । আমাদেরকে তেমন কোন ত্রাণ দেওয়া হয় নাই। সামান্য ত্রাণ দু এক জন পেলেও তা ৫-৬ জনের দুবেলার খাবার হয়না । আমরা জমিতে কাজ করে খাই। আমাদের এখন কোন কাজ কম নাই।
আব্দুল মতিন, জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা জানান ,আমাদের পযাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। এবং আমারা সকল জায়গায় পযাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করছি । এবং বন্যা পরবতি আমারা পুনবাসন ও আরো অন্যান্য পদক্ষেপ নেব ।