গর্ভপাতকেন্দ্রে গেলে হিস্ট্রি রাখবে না গুগল

গর্ভধারণ আইনের কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুগলে সংরক্ষিত গর্ভপাতকেন্দ্রে যাওয়ার তথ্যে নজরদারি করতে পারে

ব্যবহারকারীর গর্ভপাতকেন্দ্রে যাওয়ার লোকেশনের তথ্য গুগল সংরক্ষণ করবে না। শুক্রবার (১ জুলাই) সার্চ ইঞ্জিনটির কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে।

গুগল জানিয়েছে, গর্ভধারণ আইনের কারণে ডিজিটাল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো গুগলে সংরক্ষিত গর্ভপাতকেন্দ্রে যাওয়ার তথ্যে নজরদারি করতে পারে। ফলে ব্যবহারকারীর এই তথ্য গুগল তখনই মুছে দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের আদালত গত ২৪ জুন নারীদের গর্ভপাতের অধিকার বাতিল করে। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের অধিকার সংশ্লিষ্ট ৫০ বছর পুরনো ঐতিহাসিক এক রায় খারিজ করে দেন। “রয় বনাম ওয়েড” নামে পরিচিত মামলার রায়ের ফলে দেশটিতে গর্ভপাত বৈধতা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আদালত গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করে দিয়ে গর্ভপাতের অনুমোদন দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষমতা প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। ফলে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো নিজেরা গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চালু করতে পারবে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির অন্তত অর্ধেক অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাত ইস্যুতে নতুন বিধিনিষেধ বা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য মিসিসিপির রাজ্য সরকার গর্ভধারণের ১৫ সপ্তাহের পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ করাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক মামলায় রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট; ফলে মার্কিন নারীরা ১৯৭৩ সাল থেকে গর্ভপাতের যে সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করে আসছিলেন, তা কার্যত খর্বিত হলো।

গুগল বলছে, গর্ভপাত না করলেও হাসপাতালে যাওয়ায় অনেকে সমস্যায় পড়তে পারেন। এজন্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই গুগল অ্যাকাউন্টের লোকেশনের ইতিহাস সংরক্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে।

নতুন এই নিয়ম অনুযায়ী আগামী সপ্তাহগুলোতে গর্ভধারণ, গর্ভপাত, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রসহ সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে পরিদর্শনের পরপরই লোকেশনের ইতিহাস মুছে দেওয়া হবে।

যদিও লোকেশন শনাক্তের পদ্ধতি নাকি সকল তথ্য মুছে ফেলা হবে সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি গুগল।