গর্জনিয়ায় মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ইজারাদারকে ফাঁনোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন।

বান্দরবান, প্রতিনিধিঃ অবশেষে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রামুর গর্জনিয়া বাজার ইজারাদার আবদুর রহমানকে ফাঁসানো হলোমিথ্যা ও সাজানো মামলায়। শুক্রবার গহীন রাতেএ মামলা কোটে পাঠালে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এর আগে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দৌছড়ি গ্রামের এক যুবককে আটক দেখিয়ে তার উপর ভার করে এ মামলা ইজারাদার  আবদুর রহমানকে মামলার দ্বিতীয় আসামী করা হয়। যাতে সে গর্জনিয়া বাজারে গিয়ে ইজারা তুলতে না পারে। সাংবাদিক সম্মেলনে এ সব অভিযোগ গর্জনিয়া বাজার ইজারাদার আবদুর রহমানের।   সে সাংবাদিকদের প্রশ্নেন জবাবে বলেন,তিনি একজন নিরীহ ব্যবসায়ী। সিএনজি চালক থেকে সিএনজির মালিক হন। এছাড়াও তার পুরা পরিবার ব্যবসার সাথে জড়িত। রামু চৌমূহনীতে তার একটি র্গামেন্টস সামগ্রীর দোকান রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে সে এসব ব্যবসার সাথে জড়িত। এ সুবাদে সামান্য টাকা সংগ্রহ করে ১৩ জনের র্পাটনারকে সাথে নিয়ে গত ৮ জুন রামুর গর্জনিয়া বাজার ইজারা নেন। প্রায় ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইজারাটি পান তারা। আর পরাজিত পক্ষটির ডাক ছিলো প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা।  ডাকে সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে তার নাম আসে সে দিন। তার ব্যবসায়ী পাটনাররা মিলে এ টাকা বহন করে এতে ক্ষেপে যান হেরে যাওয়া পক্ষ। তারা বকাবকি শুরু করে। এর পর একাধিক পেইজবুক আইডি ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে অপবাদ রটনা শুরু হয়। আর শেষ পর্যন্ত কৌশলে ফাসাঁনো হয় মামলায়।   সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো জানান,প্রতিপক্ষ আগের ইজারাদারে প্রধান সহযোগীমোহাম্মদ ছলিম, ও সাবেক ইজারাদার মোঃ শাহ আলম আরো ৪/৫ জন বিএনপি –জামাতের লোকের সহযোগীতায় তারা টাকা সংগ্রহ করে তার বিরুদ্ধে মামলা করার যাবতীয় কলাকৌশল করে। পুলিশ ও সাংবাদিক ভাইদের ভূল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়। তারা এক পক্ষ হয়ে তার বিরুদ্ধে নানা কল্পকাহিনী রচনা করে মিথ্যা কতগুলো ডকুমেন্ট তৈরী করে দিয়ে ডিবি/পুলিশ/সাংবাদিক/গোয়েন্দাদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে এ সব দেখাছে। যা সর্বেই মিথ্যা,বানোয়াট,সাজাঁনো ও হয়রানীর অংশ।   তার মতে সে আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের একজন সদস্য। সাবেক উপজেলা রিয়াজুল আলমের সহায়তায় রামুতে দোকান  নিয়ে করে আসছেন অনেক দিন। তার বিষয়ে তিনি ভালো জানেন বলেই তো সাবে এ চেয়ারম্যান তাকে সহায়তা করেন। আর রামু যুবলীগের অনেকেই তাকে এ ব্যবসায় সহায়তা করে আসছেন। সেভাবেই তারা চেনে। কিন্তু হঠাৎ এসব বিষয়কে গোপন রেখে তাকে সাজাঁনো হচ্ছে দেশের জঘণ্যতম অপরাধী হিসেবে।  আবদুর রহমান কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,কেন তার বিরুদ্ধে এ মামলা ? তিনি থাকেন রামুতে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কর্মকান্ড দেখার পাশাপাশি সিএনজি বিষয়ে তার দায়িত্বও পালন করেন। সারা দিন দৌড়া-দৌড়ির পর রাতে ঠিকভাবে ঘুমাতেও তার কষ্ঠ হয়। এরই মাঝে তার উপর খড়ক চালানো হলো। একটি সম্পর্ণ মিথ্যা মামলা করে তার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে তার পুরা পরিবার কে হয়রানী করা হচ্ছে। প্রতিবেশীদের দূরে সরিয়ে দিয়ে তার বাড়ির মহিলাদের মারধর করে সেখানে গোপনে কী যেন করার চেষ্ঠা করা  হচ্ছে। তিনি এ সব হয়রানী বন্ধ সহ আর নিজের ও পার্টনারদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কেননা তার এ বাজারের ব্যবসায়ীরা এসব কারণে এখন চরম আতংকে রয়েছে । এ মামলার বিষয়ে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির  এসআই ও মামলা আইও হুমায়ুন করিরের সাথে যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।