গভীর রাতে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অভিযান ; লকডাউনে থেমে নেই মৎস শিকার

কামরুল ইসলাম: কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সারাদেশে লকডাউন চলছে। সরকার ঘোষিত চলমান এ লকডাউন বাস্তবায়নে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়ও কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন,থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

লোহাগাড়া উপজেলার অন্তর্গত আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৭ন্য ওয়ার্ডের পুরাতন বিওসি`র পুর্ব পার্শ্বে হোছনের পুকুর নামক একটি পুকুরে সোমবার ২৬ জুলাই সন্ধ্যা থেকে তিন শতাধিক মানুষ গণজমায়েত করে বড়শীর টিকেট দিয়ে মাছ শিকার করছিল প্রভাবশালীরা।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে উক্ত পুকুরে বড়শী শিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ আহসান হাবিব জিতু।

অভিযানের বিষয়টি অভিযানের পূর্বেয় জানতে পেরে পুকুরের মালিক দ্রুত পুকুরপাড় থেকে পালিয়ে যায়। ওই সময় প্রায় ১মন(৪০ কেজি) মাছ এবং মাছ শিকারের সব সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপস্থিত এলাকাবাসী ও নির্বাহী অফিসার ।

অভিযানকালে সাথে ছিলেন আমিরাবাদ ইউপি`র চেয়ারম্যান এস.এম ইউনুচ, লোহাগাড়া থানার এসআই দুলাল বাড়ৈ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের সিএ মুহাম্মদ ইলিয়াছ রুবেল,আমিরাবাদ ইউপি সদস্য এরশাদুজ্জামানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আহসান হাবীব জিতু জানান, লকডাউনে স্বাস্হ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। কোন ধরণের গণজমায়েত করা যাবেনা। আমিরাবাদে হোছেনের বড় পুকুরে বড়শী শিকারের নামে গণজমায়েত করতে টিকেট বিক্রি করছিল। সেখানে বড়শী দিয়ে মাছ ধরছিল। গণজমায়েতের বিষয়ে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গেলে পুকুরে মালিক দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ওই সময় প্রায় ১মন(৪০ কেজি) মাছ এবং মাছ শিকারের সব সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছ ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় বিভিন্ন এতিম খানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।