গঙ্গাচড়ায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত তলিয়ে গেছে ধান, পাট ও ভুট্টা ক্ষেত

আব্দুল আলীম প্রামানিক, গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ঝড়োহাওয়া ও ভারী বর্ষনে নি¤œাঞ্জল তলিয়ে যাওয়ার কারণে ধান, পাট ও ভুট্টা ক্ষেত তলিয়ে গেছে। প্রায় এক’শ বাড়ি-ঘর পড়ে গেছে। গাছ-পালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা।

জানা যায়, ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নি¤œাঞ্জল সমূহ তলিয়ে গেছে। ফলে ঐসব এলাকার উঠতি ফসল ধান, পাট, ভুট্টা তলিয়ে গেছে। সরেজমিনে উপজেলার কিসামত হাবু, গজঘন্টা, জয়দেব, ছালাপাক ও গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। কিসামত হাবু গ্রামে অনেকের পাট ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বিজয়, আফজালসহ অনেকে বলেন, পাট আর হবে না। এ ক্ষেত ভাঙ্গা লাগবে। ওমর গ্রামের কৃষক খবির মিয়া বলেন, এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বোরো ধান লাগিয়েছেন।

বৃষ্টির কারণে তার ধান প্রায় তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম। বাধ্য হয়ে কোমর পানিতে নেমে ধান কাটছেন। গাছ-পালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে শাক সবজি, ভুট্টা, আম ও লিচুর ক্ষতি হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের কারণে গাছ-পালা ভেঙ্গে পড়ায় অনেক এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হয়নি। ল²ীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানা, তার ইউনিয়নে ৭০টি ঘর পড়ে গেছে। নোহালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ টিটুল বলেন, ঝড়ো হাওয়ায় তার ইউনিয়নের ১০টি ঘর পড়ে গেছে। আলমবিদিতর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আফতাবুজ্জামান বলেন, তার ইউনিয়নে ঘর বাড়ি, গাছপালা ও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বোরো ধান ৬০ হেক্টর, শাক সবজি ২০ হেক্টর, ভুট্টা ২০ হেক্টর ও মরিচ ৫ হেক্টর। সব মিলে ১০৫ হেক্টর জমির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলীমা বেগম বলেন, ঘুর্ণিঝড়ে নোহালী ও বেতগাড়ী ইউনিয়নে কিছু ঘর পড়েছে। তবে সব ইউনিয়নের খবর এখনো পাইনি। নি¤œাঞ্চল সমূহ তলিয়ে গেছে। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।