গঙ্গাচড়ায় থেমে নেই নিষিদ্ধ নোট গাইড কেনা বেচা

আব্দুল আলীম প্রামানিক, গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ গাইড ও নোট বই নিষিদ্ধ। প্রশাসন বেশ কঠোর। কোন লাইব্রেরি বা স্কুলে কেউ ধরা পড়লে দৃষ্টান্ত মূলক শান্তিও দিচ্ছে ভ্রাম্যমান আদালত। তবুও থেকে নেই নোট ও গাইড কেনা বেচা। প্রশাসন ও আইনের তোয়াক্কা করছে না কেউ। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বছরের শুরু থেকে মাঠে নেমেছে দালাল চক্র। প্রকাশনী সংস্থাগুলোও বিদ্যালয় বা শিক্ষকের নানা রকম সুবিধা দিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে গাইড ও নোট বই তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় নামি দামী লাইব্রেরিগুলোতে শোভা পাচ্ছে মানহীন নিষিদ্দ নোট ও গাইড বই। ছাত্র-ছাত্রীরাও হুমরি খেয়ে পড়ছে এসব গাইড বইয়ে। একই চিত্র উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের লাইব্রেরিতে। নিষিদ্ধ হওয়া স্বত্তে¡ও বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নোট-গাইডগুলো বের করছে। আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে অনেক সময় তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। তবে বিক্রেতারা নিজেদের ব্যবসার কথা বললেও অভিভাবকদের দাবী ক্লাস রুমে পাঠ বইয়ের পড়া ঠিক মত পড়ানো হলে নোট-গাইডের আর কদর থাকতো না। কয়েকজন শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মুকস্থ নির্ভর না হয়ে, বুঝে পড়ার জন্য সরকার নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ করেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও এ নিষেধাজ্ঞার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তারা আইন যথাযথভাবে প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক বই ব্যবসায়ী বলেন, নোট ও গাইড বই প্রকাশ না হলে আমরাও বিক্রি করতাম না। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো বের করায় আমরাও বিক্রি করছি। তিনি বলেন, অনেক সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পছন্দের প্রকাশনীর এসব নোট ও গাইড আমাদের আনতে বলেন।

গঙ্গাচড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম বলেন, এটি খুব ভয়ংকর। নোট বই বন্ধ করতে সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ দিতে হবে। তিনি বলেন, স্কুল কলেজগুলোতে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের নোট বইয়ের প্রতি আর আগ্রহ থাকতো না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা বেগম বলেন, বিষয়টি আমার নজরে নেই। অভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।