খিলগাঁও রেলওয়ে মার্কেট ইয়াবার হাট!

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার যখন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে তখন রাজধানীতে চলছে অবাধে মাদকের কারবার। ঢাকার অলি গলিতে এখন মাদকের হাট। যে কোনো পাড়া মহল্লায় এখন অবাধে মাদক বিক্রি হচ্ছে। প্রশাসনের কয়েকগজ দুরত্বে এসব মাদক বেচাকেনা হলেও তাদের প্রতিরোধে কোন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। এসব মাদকে বুঁদ হচ্ছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্র্থী, চাকুরীজীবী, রিকসাওয়ালা ফেরিওয়ালা এবং শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। অবাধে মাদক পাওয়া স্পটের অন্যতম একটি স্পট রাজধানীর খিলগাওয়ের রেলওয়ে সুপার মার্কেট। যেখানে অবাধে কিনতে পাওয়া যায় ইয়াবা ফেন্সিডিল হিরোইন গাজাসহ জীবনধ্বংসকারী বিভিন্ন পদের মাদক। এলাকা ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেছে এই ভয়াবহ চিত্র।


রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম একটি এলাকা খিলগাঁও। এখানে রয়েছে বড় বড় ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অফিস আদালতের প্রয়োজনে যেমন এখানে মানুষকে আসতে হয়, তেমনি সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে তাদের আসতে হয়। এখানে বেশ কয়েকটি সুপার মল রয়েছে। আছে রেলওয়ে সুপার মার্কেট। এসব দোকানে বিশেষ করে রেলওয়ে সুপার মার্কেটের ভিতরে অবাধে বিক্রি হয় ইয়াবা নামক মাদক। মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকানের বিরুদ্ধে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এসব দোকানে ক্রেতারা আসার সাথে সাথে তাদের সার্টার বন্ধ হয়ে যায়। তখন ভিতরে বসে ইয়াবাসেবীদের জমজমাট আড্ডা। হৈ হিল্লোড় যাতে বাইরে না যায় তার জন্য এই বাড়তি সর্তকতা বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু তারপরেও গোপন রাখা যায়না। এবিষয়ে কথা হয় বেশ কয়েকজন দোকানদারের সাথে। তারা নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে তারা বলেন, প্রশাসন বিষয়টি জানে তারপরেও কোন ব্যবস্থা নেয় না। সেখানে আমরা বলে কি জীবন হারাবো?
এখানে কেবল মাদকের এই অরাজকতা চলে এমন নয়। এই সব ঘরে রয়েছে ঝুঁকিপুর্ণ এবং মেয়াদউর্ত্তীণ রসায়নিক। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে অগ্নিকা-ের মত মারাত্মক দুর্ঘটনা। কিছুদিন আগে এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। তারপরেও এই ঝুঁকি থেকে এলাকাবাসীকে মুক্ত করার কোনে কার্যকর পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি।
খিলগাঁয়ের বর্তমান অবস্থা দেখে সাধারণ মানুষ খুবই শঙ্কিত। অবিলম্বে ইয়াবাসহ মাদকের পাঠ চুকাতে না পারলে এলাকার যুবসমাজ একেবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে বলে তারা মনে করেন। একই সাথে তারা রসায়নিক গুদাম এবং দোকানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।