খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফাতেমারও মুক্তি মিলছে

শর্তসাপেক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) একটি সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। দিনটি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের। তার কারাবন্দীর সঙ্গে গৃহপরিচারিকা ফাতেমাকেও যেতে হয় জেলে। কারাগার ও হাসপাতালে থেকে দীর্ঘ ৭৭৪ দিন সঙ্গ দিয়েছেন খালেদা জিয়াকে। সেই ফাতেমাও বুধবার (২৫ মার্চ) খালেদা জিয়ার সঙ্গে মুক্তি পাচ্ছেন। জেলে যাওয়ার পরপরই ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ব্যক্তিগত গৃহ পরিচারিকা হিসেবে ফাতেমা বেগমকে রাখার অনুমতি পান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এই নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই কারাগারে খালেদা জিয়ার একমাত্র সঙ্গী ফাতেমা। একারণে যিনি গণমাধ্যমেও আলোচনায় আসেন।

জানা যায়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) একই কেবিনে থেকে ৭৫ বয়সী নানা রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়াকে সহায়তা করেছেন। তাকে বাথরুমে ধরে নিয়ে যাওয়া থেকে মুখে তুলে ওষুধ খাওয়ার কাজ করেন এই ফাতেমা।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া রোজা রাখছেন। তবে হাসপাতালের দেয়া খাবার তিনি খেতেন না। তার সঙ্গে থাকা গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম প্রতিদিন তার পছন্দের ইফতার তৈরি করে খাওয়াতেন।

ঢাকার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে ২৫ মাস আগে দুর্নীতি মামলার রায় শুনতে আদালতে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সেদিনও গাড়িতে সঙ্গী ছিলেন খালেদার সেবিকা ফাতেমা। সেখান থেকে কারাগারে। সরকার মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। বিএনপিনেত্রীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ফিরোজা বাসভবনটি। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফাতেমাও উঠবেন সেই বাসায়। থাকবেন তার সঙ্গেই।

গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ১ নম্বর হোল্ডিংয়ে এই ভাড়া বাসায় খালেদা জিয়া বসবাস করছিলেন ২০১০ সাল থেকে। তখন থেকেই গৃহপরিচারিকা হিসেবে প্রায় সবখানে খালেদার সঙ্গে ফাতেমা দেখা যায়।