খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়লো

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড তৃতীয়বারের মতো স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগের শর্তে আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তবে তিনি দেশের অভ্যন্তরে চিকিৎসা নিবেন বিদেশে যেতে পারবেন না এই শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, খালেদা জিয়ার সাজা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন করেছেন। এতে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতও প্রস্তাবের সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল।

চলতি মাসের শুরুর দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে দেখা করে এ আবেদন করেছিলেন। আবেদনে শর্ত শিথিল ও সাজা মওকুফ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার কথাও বলা হয়েছে।

এর আগে দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগের শর্তে আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয়। অনুমোদনের নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

গত ২ মার্চ খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন। করোনা পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ঠিকমতো করতে না পারায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও বাড়ানোর এ আবেদন করা হয়। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে তার স্থায়ী জামিনের আবেদনও জানানো হয়েছিল। দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসনের দ্বিতীয় দফায় সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হবে ২৪ মার্চ।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাসের জন্য বৃদ্ধি করে সরকার। শর্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়া সাজা স্থাগিত থাকাকালীন বিদেশে যেতে পারবেন না এবং নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিবেন।

উল্লেখ্য যে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি। এদিকে গেলো বছর ২৫ মার্চ ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে ২৫ মাস কারাভোগের পর সরকার শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ফের ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।