খালেদা জিয়াও আশাবাদী

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটি আশা করছে, ন্যায়বিচার পেলে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও নির্বাচন করতে পারবেন। গতকাল বিকালে গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দলের অনেক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা এটা একটা বিজয়। আমাদের আন্দোলনে জনগণের বিজয় যে আজকে প্রার্থীরা বৈধ হয়ে এসেছেন এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আশা করি, ন্যায়বিচার যদি প্রতিষ্ঠিত হয়, তা হলে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াও নির্বাচনে বৈধপ্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন, ঘোষিত হবেন।

যাচাই-বাছাইকালে রিটার্নিং অফিসাররা যাদের বাতিল করেছিলেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল তাদের প্রার্থিতা বৈধ করায় ইসিকে ধন্যবাদ জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসার অসংখ্য প্রার্থী অবৈধ ঘোষণা করেন। এসবের বেশিরভাগই আমাদের দলের প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনের শুনানির মধ্য দিয়ে অনেকে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই তারা ন্যায়বিচার করেছেন। এর থেকে আরেকটি বিষয় প্রমাণিত হয়, কমিশন যেসব কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেখানে প্রার্থীরা ন্যায়বিচার পাননি। সরকারি কর্মকর্তারা যে সরকার দায়িত্বে থাকে বেশিরভাগ সময় তাদের কথা মেনে চলতে হয়। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ন্যায়বিচার করা সম্ভব হয় না।

নির্বাচনের পরিবেশ চাই

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সরকার ভীতসন্ত্রস্ত বলেই রাষ্ট্রযন্ত্রকে এই নির্বাচনে তারা ব্যবহার করছে। যেটা সাংবিধানিকভাবে নিরপেক্ষ হতে হবে, সেখানে তারা বেআইনিভাবে হস্তক্ষেপ করছে। উদ্দেশ্য নির্বাচনকে প্রভাবিত করা। তিনি অভিযোগ করেন, সারাদেশে গ্রেপ্তার চলছেই, কোথাও কোথাও বাড়ছে। আজ খবর এসেছে বিএনপি কোথাও কোথাও সাংগঠনিক ঘরোয়া সভা করছে; সেখানেও বাধা দিচ্ছে। অর্থাৎ দুর্ভাগ্যজনক হলেও প্রশাসন এখানে অনেক ক্ষেত্রে যুক্ত হচ্ছে যে নিরপেক্ষতাকে নষ্ট করার জন্য। আবারও বলছি, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন, দলগুলোর যে অধিকার আছে, তা প্রয়োগ করার সুযোগ দিন, গ্রেপ্তার বন্ধ করুন।