কোরবানির গরু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় সরিষাবাড়ির খামারিরা

ফরিদ আহম্মেদ, সরিষাবাড়ি (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ সরিষাবাড়ীর খামারিরা সারা বছর গবাদিপশু লালন-পালন করে ঈদে ভালো দামে বিক্রির আশায়। তবে গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন শরু হওয়ায় সরিষাবাড়ীর পশুর হাট এখনও শুরু হয়নি। তাছাড়াও ১৪ জুলাইয়ের পর লকডাউন শেষ হবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।

খামারি স্বপন বলেন, এখনও কোনো গরু বিক্রি করতে পারিনি। এমনিতে লকডাউনে বেচাকেনা নেই, এর মধ্যে আবার গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছি। গমের ভূসির ৩৭ কেজির বস্তায় ৩০০ টাকা, সয়ামিল ৫০ কেজির বস্তায় ৭০০ টাকা।রাইস ২৫ কেজির বস্তা ৯০০ টাকা।

মামা ভাগ্নে ডেইরী ফার্মের মালিক আল- আমিন (মিলু) জানান,গত বছর ২০ টি গরু নিয়ে যাত্রা শুরু হয় মামা ভাগ্নে ডেইরি ফার্মের। সব কিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিলো কিন্তু করোনার প্রকোপের কারনে গুনতে হয় বড় ধরনের লোকসান।তবে বিগত বছরের গ্লানি মুছে কোরবানি ঈদ কে সামনে রেখে লালন করেন ১৫ টি গরু যার সবগুলোই বিক্রির উপযোগী হলেও লকডাউনের কারনে তা বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় আছেন। তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে সরকার থেকে খামারিদের প্রণোদনা দেওয়া হলেও তা আমার মতো অনেক খামারি পাইনি।

খামার মালিক আলমগীর হেসেন জানান, ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করন করা হয়েছে। লকডাউনের কারনে গরুহাট বন্ধ। খামারে কোন বেপারি আসছে না। গরু বিক্র না করতে পারলে বড় ধরনের লোকসান হবে। তাই সরকারের কাছে সহায়তা কামনা করেন তারা।

সরিষাবাড়ী উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন মো. আতিকুর রহমান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার ৬২০টি খামারি ৩ হাজার ৭৫০টি পশু মোটা তাজা করন করা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এ সময়টা উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাটবাজারে থাকে ক্রেতার আনাগোনা। করোনায় লকডাউনে পশুর হাট কিছুটা চললেও ক্রেতার দেখা না পাওয়ায় বিরাট লোকসানের শষ্কায় আছেন খামারিরা। ন্যায্য দাম না পেলে পথে বসতে হবে।