কোটচাঁদপুর মডেল থানা চত্বরে বিষ মুক্ত সবজি চাষ

আব্দুল্লাহ বাশার, কোটচাঁদপুরঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ঘাসে ভরা মডেল থানা চত্বরে এখন চাষ হচ্ছে বিষ মুক্ত শীতকালীন নানা ধরনের সবজি। আছে ফুল ও ফলের বাগান।

থানা চত্বরের অনাবাদি জমি খণ্ড খণ্ড করে এই সবজি, ফুল ও ফলের চাষ করছেন পুলিশ সদস্যরাই। সকাল-বিকাল যারা যে সময় অবসর থাকে, সেই পুলিশ সদস্য নিজ হাতে সবজি ক্ষেত পরিচর্যায় নেমে পড়েন।

খণ্ড খণ্ড জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে লালশাক, সবুজশাক, শালগম, আলু, বেগুন, মুলা, ঢেঁড়স, কপি, শিম, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, ওল,মানকচু, পিঁয়াজ, রশুন, ঝাল, কলা, মাল্টা, ড্রাগন সহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি ও ফলের বাগান ।
এ দৃশ্য দেখে থানায় সেবা নিতে আসা প্রতান্ত অঞ্চলের মানুষের দৃষ্টি কাড়ছে। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরী হয়েছে থানা চত্বর। পৌর শহরের কামাল আহমেদ বলেন, আমি মাঝে মধ্যে বিভিন্ন কাজে থানায় আসি। থানা চত্বরের প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগল। এটা দেখে নিজেও বাড়ির আশ পাশে পড়ে থাকা জমিতে সবজি সহ বিভিন্ন ফলের চাষ শুরু করেছে বলে জানান।

কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল আলিম,হুমায়ুন কবির, কাজী মামাুন সহ অনেকে বলেন, আমরা এখন আর তরকারি বাজার থেকে কিনি না। আমরা নিজেরা চাষ করেছি থানা চত্বরে বিষ মুক্ত সবজি। এখান থেকেই পরিবারের চাহিদা মিটিয়।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জগন্নাথ চন্দ্র বলেন, আমি নিজেই দুটি খন্ডে লালশাক, বেগুন, লাউসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করেছি। নিজ হাতে পরিচর্যা করা গাছে ফল-ফুল এলে ভীষণ ভালো লাগে। তা ছাড়া কীটনাশকমুক্ত তরতাজা সবজিও পাচ্ছি এখান থেকে।

মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মঈন উদ্দিন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমি কাজে লাগাতে হবে। এ কথায় উদ্বুদ্ধ হয়েই আমরা সবাই থানা চত্বরের পতিত জমি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি বা করছি। এতে আমরা যেমন বিষমুক্ত সবজি নিজ হাতে তুলে খেতে পারছি, অন্যদিকে অবসর সময় সবজিক্ষেত পরিচর্যার মাধ্যমে ভালো সময় কাটছে। নিজের কাজ নিজ হতে করলে শরীর মন দুই টায় ভালো থেকে।