কোটচাঁদপুরে সামস্উদ্দীন মেমোরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতালে আর কতো মৃত্যু হলে টনক নড়বে উর্ধতন কতৃপক্ষের?

আব্দুল্লাহ বাশার (কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি )

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সামস্উদ্দীন মেমোরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় আজও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। আর কতো মৃত্যু হলে টনক নড়বে উর্ধতন কতৃপক্ষের। অভিযোগ রয়েছে ১০ শয্যা অনুমোদনে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন ৩০ শয্যায়। এছাড়াও রয়েছে ১৫টি কেবিন। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সূধী ও সচেতন মহল।

জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও অব্যস্থাপনার শিকার হয়ে হার্নিয়ার অপারেশন করা আব্দুল মান্নান (৫০) নামে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই সামস্উদ্দীন মেমোরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাতের আধারেই মৃতদেহটি বাড়িতে রেখে আসেন। এ ঘটনা নিয়ে পরের দিন বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এছাড়া অন-লাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে।

এরপরও সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বহাল তবিয়তে ক্লিনিক ব্যবসা করে যাচ্ছেন সামস্উদ্দীন মেমোরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ডাঃ ছহি উদ্দিন।

ক্লিনিকের শয্যা সংখ্যা নিয়ে ডাঃ ছহি বলেন, ১০ শয্যার অনুমোদন আছে, ব্যবহার করা হয় ১৮/২০ শয্যা। এসময় তিনি অস্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানে থাকা কেবিনের কথা।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ১০ শয্যার অনুমোদন থকালেও স্বাস্থ্য সেবায় দিতে ব্যবহার করেন ৩০ শয্যা। এছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ১৫টি কেবিন। যা, রোগীর স্বাস্থ্য সেবায় ব্যবহৃত হয়।

কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ জানান, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানাযায় প্রতি শুক্রবার তিনি নিজেই ঔ ক্লিনিকে বসে রোগী দেখেন।

এব্যাপারে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম বলেন, আমি খুলনায় একটি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলেন।

উল্লেখ্য গত ১৯ নভেম্বর সামস্উদ্দীন মেমোরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রসূতি মায়ের গর্ভেই আরোও এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।