কুষ্ঠিয়ায় কৃষকের তালিকায় গায়েবি নাম!

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় সরকারীভাবে ধান ক্রয়ের জন্য তৈরী কৃষকের তালিকায় নানা অসজ্ঞতি পাওয়া গেছে। এক ব্যাক্তির একাধিক নাম, ডিম বিক্রেতা, এমনকি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকা ব্যাক্তিদের নাম কৃষক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে, সাধারণ কৃষকেরা বিস্মিত হয়ে পড়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, চলতি মৌসুমে দৌলতপুর উপজেলায় ২ হাজার ৪শত ২৪ টন আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যে ২ হাজার ৪ শত ২৪ জন কৃষক লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়।

উপজেলার গোয়ালগ্রাম এলাকার হরেন্দ্রনাথ দাসের কোন আবাদি জমি না থাকলেও ধান সংগ্রহের কৃষক তালিকায় তার নাম রয়েছে।

দৌলতপুরের ডিম বিক্রেতা সুলতান এর নাম দু‘বার ব্যবহার করা হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কাপড়পোড়া গ্রামের ময়নাল হক, শফিকুল, আব্দুর রব, দৌলতপুর গ্রামে সাবুল আল মামুন, আইনাল হোসেন, জহিরুল, নুর জামান, আওয়াহিদ, আরমান, বেলাল, রায়হান, সাজলীন, সাজ্জাদ, সাহাদ হোসেন নামে কোন কৃষকের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি। একই নাম ও মোবাইল নম্বর একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে।

কাপড়পোড়া গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন জাবেদ আলী, তরিকুল ইসলাম কোন নিজস্ব জমি বা বর্গা আবাদ না থাকলেও তারা ধান সরবরাহের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। একই ভাবে উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে ধান/চাল ক্রয় বিক্রয়ের সিন্ডিকেট সদস্যরা নিজ নিজ এলাকার ৩০ থেকে শতাধিক ভুয়া/গায়েবি কৃষকের নাম সরবরাহ করেছে।

চক দৌলতপুর গ্রামের কৃষক সুলতান মাহমুদ জানান, কবে কারা কিভাবে নাম দিয়েছে বা লটারী হয়েছে তারা তা জানতে পারেন নি। তিনি জানান, কৃষি অফিসের সাথে আঁতাত করে কতিপয় ব্যবসায়ীরা এ তালিকা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্লক সুপার ভাইজাররা এ সকল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তালিকা সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, কৃষি কর্মকর্তার দেয়া তালিকার ভিত্তিতে লটারী করে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। এখানে কোন ধরণের অনিয়ম হয়ে থাকলে সেটা কৃষি কর্মকর্তা ভাল বলতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ,কে,এম কামরুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন ধরণের ভুয়া বা গায়েবি নাম থাকার কথা অস্বীকার করেন।