কুমিল্লায় পেঁয়াজের বাজারে আগুন

হালিম সৈকত,কুমিল্লাঃ বানিজ্য সচিবের আশ্বাসের পরও কেন পেঁয়াজের দাম কমছে না, তা বোধগম্য নয়? ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় গত ২৯শে সেপ্টেম্বর। িএর আগে তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সরকার কেন বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজে রাখল না? সরকারের বুঝা উচিত ছিল পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতে পরতে পারে? দামও বাড়তে পারে। বিকল্প ব্যবস্থায় সরবরাহ নিশ্চিত ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবস্তা আগে থেকেই করা উচিত ছিল। কুমিল্লা বিভিন্ন বাজার যেমন চকবাজার, রাজগঞ্জ, নিউ মার্কেট, বাদশা মিয়ার বাজার ও রাণীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে। বাজারে পেঁয়াজ নেই। আড়ৎধাররা বলছেন, পেঁয়াজই আসছে না। না আসলে তো দাম বাড়বেই। প্রতি কেজি খুচরা বেঁচা হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা থেকে ১৫৫ টাকা পর্যন্ত। কোন কোন পাইকার টেকনাফ থেকে পেঁয়াজ আনার চেষ্টা করলেও পারছেন না। পেঁয়াজের দাম এত বেশি কেন এই প্রশ্নের জবাবে চকবাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, বাংলাদেশে তো পেঁয়াজই নেই, পেঁয়াজ যদি আমাদের কাছে না আসে তাহলে তো দাম বাড়বেই। এক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই। কারণ ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার কারণে চাপ আমাদের উপর পড়েছে। সাইফুল ইসলাম নামে একজন ক্রেতা জানান, রাজগঞ্জে গেলাম দেখলাম পেঁয়াজের দাম ১৬০-১৭০ টাকা কিন্তু চকবাজার আসলাম কমের জন্য এখানে এসে দেখি আরও বেশি। ধরা খাইলাম। আরেকজন বিক্রেতা বলেন, পেঁয়াজ ছাড়া তো কোন কিছু রান্না করা সম্ভব নয়। তাই এর উপর বেশি চাপ পড়েছে। এই দিকে গত এক সপ্তাহে কয়েক দফা দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। দাম কমার কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। মজুদদারী করে ইতোমধ্যে অনেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ার সুযোগ কেউ কেউ নিচ্ছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলছেন। তাই মনে করা হচ্ছে, পেঁয়াজের দাম আসলে কখন, কতটা কমবে তা নির্ভর করছে ব্যবসায়ীদের উপরও।