কুমিল্লার ওপেনার বনাম ঢাকার অলরাউন্ডার?

এই আমার দেশ ডেস্ক : ফাইনাল নিয়ে আলাপ তোলার আগে দু’দলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচের দিকে চোখ বুলিয়ে আসা যাক। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচেই কুমিল্লা-ঢাকা উপহার দিয়েছিল জমাট লড়াই। দুই ম্যাচেই রান তাড়া করে ঢাকা। প্রথম দেখায় কুমিল্লা ১৫৮ রানের লক্ষ্য দেয় ঢাকাকে। তামিমরা জয় পায় মোটে ৭ রানের। দ্বিতীয় দেখায় ১২৭ রান তোলে কুমিল্লা। ঢাকা হারে ১ রানে। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ ফাইনালে দারুণ লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছে। আর কুমিল্লাকে দিচ্ছে আত্মবিশ্বাস।

ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস সেটাই বললেন, ‘আমরা আগের দুই দেখায় জিতেছি। একটি দলকে দু’বার হারালে, স্বাভাবিকভাবেই তারা আরেকবার মুখোমুখি হবার আগে দলটাকে নিয়ে চিন্তায় থাকবে। সেই দিক থেকে, আত্মবিশ্বাসের জায়গায় ভালো অবস্থানে আছি। এটা আমাদের ভালো কিছু করতে সাহায্য করবে।’

দুই দলের মধ্যে অলরাউন্ডারের লড়াই দেখা যাবে। এর আগের ম্যাচেও দেখা গেছে তেমননি। এছাড়া দুই দলে আছে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের ক’জন। ঢাকার দলে আছেন অধিনায়ক সাকিব, আন্দ্রে রাসেল, পোলার্ড, সুনীল নারিনরা। নিজেদের দিনে একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন তারা। কুমিল্লাই বা পিছিয়ে কই! থিসারা পেরেরা, আফ্রিদি, সাইফউদ্দিনরা আছেন তাদের দলে। আর পাঁচ ওপেনার তামিম, লুইস, আনামুল, ইমরুল, শামসুর তো আছেনই।

ঢাকার অলরাউন্ডার নিয়ে তাই খুব চিন্তিন নয় ইমরুল, ‘আগের দুই ম্যাচেও চার অলরাউন্ডার ছিল তাদের। তবুও আমরা জিতেছি। তাই আলাদা কোন পরিকল্পনা নেই দলের। আর আমাদের দলের অভিজ্ঞ শহীদ আফ্রিদিরা টি-২০ ক্রিকেট খুব ভালো বোঝেন। প্রথম থেকেই তিনি ভালো বোলিং করে আসছেন। থিসারা আছেন। দলের শক্তির জায়গাটা ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আশা করি ফলাফল আমাদের পক্ষেই আসবে।’

কুমিল্লার কোচ সালাউদ্দিন আবার ফাইনালের তুরুপের তাস মনে করছেন স্থানীয় ক্রিকেটারদের। তিনি বলেন, ‘দলের সমন্বয়টা খুবই ভালো। আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটাররা খুবই ভালো করছে। এ ধরণের টুর্নামেন্ট জিততে স্থানীয়দের পারফর্ম করতেই হবে। বিদেশীদের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করা ঠিক হবে না। তারা দলের সাহায্য করবে, সঙ্গে স্থানীয়রা জ্বলে উঠলে তা দলের জন্য অনেক লাভজনক হয়।’ শেষ লাভটা কোন দলের হয় দর্শকদের মনোযোগ এখন সেদিকে।