কুড়িগ্রামে ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে দোকানপাট-ঘরবাড়ি ভাংচুর করল

মোঃ বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় শিক্ষকের কাছ থেকে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে ফারুক হোসেনের ঘরবাড়ি ও রফিকুল ইসলামের দোকানপাঠ ভাঙচুর করছে দূর্বৃত্তরা। এসময় রফিকুল ইসলাম ও ফারুক হোসেনের কয়েক লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। অপর দিকে দূর্বৃত্তরদের হামলায় ভয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (১৮ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টার দিকে সদরের হলোখানা ইউনিয়নের লক্ষিকান্ত ঠগের হাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঠগের হাট গ্রামের লক্ষীকান্ত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজাদ হোসেন ও প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান একই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ফারুক ইসলামের কাছ থেকে ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারী পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ১২ লাখ টাকা নেন। তিন বছর ধরে টাকা না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে। ওই টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে গ্রামে একাধিক শালিস বৈঠক করা হয়।গতকাল আবার শালিস বসলে সমাধান না করে আজাদ হোসেন বৈঠক থেকে উঠে নিজেকে মারধর করেছে বলে এলাকায় অভিযোগ তোলেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজাদ হোসেন শুক্রবার সকালে ভারাটে সন্ত্রাসী ডেকে রফিকুল ইসলামের দোকানপাঠ ও ফারুকের ঘরবাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনা মোঃ ফারুক হোসেন ৯৯৯ ফোন দেয়। পুলিশ আসার আগে দূর্বৃত্তরা রফিকুল ও ফারুকের তিনটি বাড়ি আসবাবপত্রসহ আনুমানিক ৪০ লাখ ও নগদ অর্থ ১০ লাখ মোট ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলাটি প্রক্রিয়াধীন।

প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আমি জানি না। আমি নামাজে যাচ্ছি। যার সাথে এ ঘটনা তার সাথে (আজাদ মাস্টারের) সাথে সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে জানতে আজাদ হোসেনকে একাধিক বার ফোন দিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমি গত চার বছর আগে মিজানুর রহমান ও আজাদ স্যারকে চাকুরীর জন্য ১২ লাখ টাকা দেই। চাকুরী তো নাই নাই, সেই টাকা দিচ্ছেন না তারা। এ নিয়ে অনেক সালিস হয়েছে। টাকার জন্য চাপ দিলে আজ তারা লোকজন দিয়ে আমার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেছে।

আমরা তাদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছি।

সদরের হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম রেজা বলেন, খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ব্যাপক পরিমাণে ভাংচুর হয়েছে। তবে কে-বা কাহারা করেছে আমার জানা নেই।

কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।