কিশোরগন্জের মাঠে সূর্যমুখি ফুলের সাথে সেলফি

এস কে রাজু -কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ কিশোরগন্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের কামালিয়ার চর এলাকায় সরকারি কৃষি  প্রনোদনার বীজ পেয়ে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন ঐ এলাকার আদর্শ কৃষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন।   তিনি এ বছর স্হানীয় উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জনাব মোঃ রবিউল করিম (SAAO) এর সহযোগিতায় ৩৩ শতাংশ  জমিতে বানিজ্যিক ভিত্তিতে সূর্যমূখীর চাষ করেছেন। সূর্যমুখি ফুলে ভরে গেছে কৃষকের জমি। এ যেন সবুজের মাঝে হাজারো হলুদ ফুলের মেলা। কিশোরগঞ্জ – ভৈরব  সড়কের পাশে কামালিয়ার চর মাঠে সূর্যমুখি ফুল দৃষ্টি কেড়েছে সব বয়সী মানুষের। দৃষ্টিকাড়া ফুলের মধ্যে কেউ সেলফি, কেউ স্বজন নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত ছবি তুলতে ভিড় করছে। কেউ যেন ফুল না ছেড়ে সেজন্য সেখানে মালিক নিজেই প্রতিনিয়ত পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন। 
কৃষি জমিতে চাষ করা সূর্যমূখি ফুলের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে গত দিন পনের থেকে সেখানে উপচে পড়া মানুষের ভীড়। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছে মানুষ। বিভিন্ন বয়সের মানুষকে সামলাতে বেগ পোহাতে হতে হচ্ছে কৃষক মোঃ গিয়াসউদ্দিন কে । অনেকেই গাছ ভেঙ্গে জমির মাঝে চলে যাচ্ছেন ছবি তুলতে।ছবি তুলতে আসা মোঃ শহিদুল ইসলাম, কৃষিবিদ সীড লিঃ (S S O) বলেন ফেসবুকে ফুলের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে ছবি তুলতে এসেছি।ফুলে-ফুলে ভরপুর এমন দৃশ্য স্বপরিবারে বিনোদনের একটি জায়গাও বটে। এখানে এসে সারাদিনের ক্লান্তি যেন ভুলে গেছি।’

উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ রবিউল করিম এই আমার দেশ পত্রিকাকে জানান, ফুল ফোটার পর ফেসবুকে ভাইরাল হলে মানুষের ভীড় বাড়তে থাকে।
তিনি আরো জানান সরকারি প্রণোদনার সূর্যমুখী বীজ পেয়ে কৃষক মোঃ গিয়াসউদ্দিন ও আরো দুজন কৃষক ক্লাষ্টার ভিত্তিতে  এবছর  ১ একর জমিতে এ  সুর্যমুখী চাষ করেছেন। পুরোজমিতে ফুলে ফুলে ভরে যাওয়াতে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ তৈরী হয়েছে। এখন সব শ্রেণির মানুষ ছবি/ সেল্ফি  তোলার জন্য ভীড় করছে। মানুষের উপস্থিতি ভালো লাগছে। কিন্তু কিছু নারী পুরুষ গাছ দুমড়ে-মুচড়ে ভিতরে গিয়ে ছবি তুলছে। যা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে সুর্যমুখী ফুল যেমন দর্শনার্থীদের মন কেড়েছে তেমনি কৃষক ও বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করছি।
স্থানীয়ভাবে কৃষকদের অনাগ্রহের কারণে সূর্যমুখী ফুলের চাষ খুব একটা হয় না। বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া সুর্যমুখি চাষের উপযোগী। তবে প্রণোদনা বৃদ্ধি করে কৃষকের আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারলে এবীজটি হতে পারে কৃষকের অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার।