কালকিনিতে বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে আ.লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

রোমান, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি তাহমিনা সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা আ.লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠন।

সোমবার দুপুরে কালকিনি উপজেলা আ.লীগের দলীয় কার্যালয় এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২৩ জুন সকালে কালকিনি উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যােগে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি তাহমিনা সিদ্দিকী উপস্থিত না হয়ে তিনি তার ঢাকার বাসা থেকে বিশেষ অতিথি হয়ে হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশে বক্তব্য রাখেন। পরে তাহমিনা বেগম তার বাসায় বসে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী পরাজিত মেয়র প্রার্থী সোহেল রানা মিঠু ও স্বতন্ত্র পরাজিত মেয়র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ হাওলাদারসহ একাধিক বিতর্কিত নেতাকর্মীদের নিয়ে সংগঠনের বাহিরে গিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে ব্যাক্তিগতভাবে কেক কেটে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেন। এ অনুষ্ঠানের খবরটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ বিষয়টি দেখে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে চড়ক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এছাড়া তাহমিনা সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অভিযোগে  রয়েছে, তিনি দীর্ঘ বছরের পর বছর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ ধরে রাখায় ত্যাগীরা পদ বঞ্চিত হচ্ছেন। তাহমিনা সিদ্দিকীর এ সকল বিতর্কিত কর্মকান্ডের প্রতিবাদে কালকিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

কালকিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন অভিযোগ করে বলেন, তাহমিনা বেগম আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়ে সে বিতর্কিত এবং বহিস্কারকৃত নেতাকর্মীদের নিয়ে একা একা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটেছে। তার সঙ্গে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এনায়েত হোসেনও ছিল। তারা কিভাবে দলের বাহিরে গিয়ে নিজের বাসায় বসে কেক কাটেন। এ বিষয়টি আমরা জেলা আওয়ামীলীগকে অবহিত করেছি।

অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি তাহমিনা সিদ্দিকী বলেন, আমি বহিস্কারকৃতদের নিয়ে কেক কাটিনি। তবে সাবেক মেয়র এনায়েত হোসেন কিছু বহিস্কারকৃতদের নিয়ে আমার বাসায় এসেছিল। মাস্ক পরে আসার কারনে কারা – কারা আমার বাসায় এসেছিল আমি চিনতে পারিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আওলাদ হোসেন মাষ্টার, আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন, যুগ্নসম্পাদক লোকমান সরদার, পৌরসভার মেয়র এসএম হানিফ, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক সরদার, উপজেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ বেল্লাল হোসেন,উপজেলা যুবলীগের যুগ্নসম্পাদক শাহাদাত সরদার, সিডিখান ইউপি চেয়ারম্যান চাঁনমিয়া শিকদার, সাহেবরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম, শিকারমঙ্গল ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মৃধা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বাকামিন খান, সাধারণ সম্পাদক শাহিন ফকির ও অন্যান্যরা।