চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামের বাঘপাড়ার আজগার বাঘের ছেলে বাংলাদেশ বিজিবিতে কর্মরত কাবিলের বিরুদ্ধে রাতে বিয়ে করে তারপর দিন সকালেই জোরপূর্বক নববধূকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তালাক নামায় স্বাক্ষর করে নেবার অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের নজরুলের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মাহমুদার সাথে পীরপুরকুল্লা গ্রামে আজগার বাঘের ছেলে কাবিলের সাথে গত শুক্রবার রাতে বিবাহ হয়।মাহমুদার চাচা আমাদের জানান গত শুক্রবার রাতে আমাদের মেয়ে সাথে কাবিলের বিবাহ হয়।সকালে তারা আমাকে খবর দিয়ে ডেকে নিয়ে বলে তোদের মেয়ের আগে বিবাহ হয়েছিল।পরে বিশ থেকে পচিশ জনের মত কাবিলের আত্মীয় স্বজন মিলে আমাকে নানান রকম হুমকি সহ মারধর করতে যায়।আমাকে চাপ দিয়ে বাধ্য করায় নানান কথা বলতে।এক পর্যায়ে আমার ভাইদের খবর দিলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে চিন্তায়। পরে কাজী ডেকে আমার মেয়েকে দিয়ে তালাক নামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেই।এখানে কাজীর কোন দোষ নেই বলেও জানান মেয়ের চাচা।তিনি বলেন কাজী তো জানেন না কি হয়েছে যা হবার তার আগেই হয়েছে।
আমরা তখন ভাবতে পারিনি কি করবো । এ বিষয়ে তিনি আরো জানান কাবিল সেদিনই তার আগে চাকরিতে চলে যায়।মাহমুদার চাচা জানান এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি সহ বিজিবির উদ্ধতন কৃতপক্ষের কাছে বিষয়টি জানাতে আমাদের লোকজন কাজ করছে।তবে এ বিষয়ে জানতে মেয়ে ও তার বাবা মার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা বাড়িতে না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়টি জানতে পেরে সচেতন মহল হতবাক হয়ে পড়েন তারা বলেন এটা কিভাবে সম্ভব। রাতে বিয়ে সকালে এমন করে তালাকের কাগজে স্বাক্ষর।সে প্রশাসনের লোক বলে তার পরিবারের লোকজন কি যা খুশী তাই করবে।এভাবে একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করবে।তার পরিবারের লোকজনের শাস্তি হওয়া দরকার।এ বিষয়ে জানতে কাবিলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে তার আরেক ভাই মামুনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা।এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গার কাজী সামসুল হকের সাথে কথা বললে তিনি জানান তালাক কার্যকর হয়নি।যৌথ তালাকে শুধু মেয়ের স্বাক্ষর ছিল ছেলে বাইরে থাকায় তার স্বাক্ষর ছিলোনা।তবে তিনি আরো জানান মেয়েটির নামে যে অপবাদ দিয়েছিল তার কোন প্রমান ছেলেদের কাছে নেই। তাই উভয়পক্ষ বসে সমাধান হয়ে গেছে।কাবিল তার স্ত্রীকে মেনে নিয়ে সংসার করবেন বলেও জানান তিনি।