কামাল হোসেনের ক্ষমতার দাপটে, চলছে অবৈধ ভূমি খেকো ড্রেজার মেশিন।

কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়া হোসেনপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ক্ষমতার দাপটে চলছে অবৈধ ড্রেজারের রমরমা বালু উত্তোলনের ব্যবসা। তাদের ভয়ে কেউ কিছু মুখ ফুটে বলতে পারে না। এই সুযোগে তার নিজস্ব জায়গার পাশে থাকা সরকারি জায়গা অবৈধ দখলের মাধ্যমে, পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে আসছে। সেখানে মাছ চাষের পাশাপাশি, অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে বহুদিন ধরে। যার ফলে উক্ত সরকারি জায়গার পার্শ্ববর্তী অন্যের ক্রয়কৃত ধান্য জমি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক বছরেরও বেশি সময় বালু উত্তোলনের ফলে অনেকের ধান্য জমি ভেঙে যাওয়া সম্ভাবনার বিষয়ে তাকে জানালে, সে নানা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ধমকি ও গুম করে ফেলার হুমকি দেয়।

গ্রামবাসী তার অবৈধর ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন সরকারিভাবে অবৈধ বলে জানালে সে বলে, গ্রামের ৮০ ভাগ ভূমির মালিক আমি কামাল হোসেন। কারো ক্ষমতা থাকলে আমার ড্রেজার বন্ধ করে দিক, আমার ক্ষমতা আছে আমি চালাচ্ছি। আমার নামে ভূমি কমিশনারও থানায় অভিযোগ দিয়েও আমার ড্রেজার বন্ধ করতে পারেনি। এছাড়া আমি এসব ভয় পাই না। কামাল হোসেনের এই হুমকি দামকির ও অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাছে কাছে লিখিতো অভিযোগ করেন প্রবাসী আব্দুল সাত্তার, আব্দুর রবের পরিবার।

এই একই বিষয়ে ওই গ্রামের স্বপন মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার,শাহজালালের স্ত্রী লুৎফুর নাহার সহ আরো অনেকেই অভিযোগ করেন।এইদিকে অভিযোগ পেয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মরণ কুমার দাস বলেন, আমি ড্রেজারের স্থানে গিয়ে ড্রেজার বন্ধ করে এসেছি। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফারুক হোসেন জানান, আমি বিষয়টি জানার পর ড্রেজারের মালিককে ড্রেজার সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছি।

এই বিষয় নিয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এনামুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,ড্রেজার মেশিন আসলে আইনত নিষিদ্ধ, আমরা যখনই লিখিত হোক বা মৌখিক হোক যে অভিযোগ যেখানে পাচ্ছি, সেখানেই প্রশাসনের পক্ষে থেকে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন ড্রেজার মেশিন আমাদের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি করে। আইনত ড্রেজার মেশিন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা ড্রেজার মেশিন চালানো কে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। এটি আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, আপনারা জানেন যে, ভ্রাম্যমান আদালতে অন্তর্ভুক্ত আছে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনায় আইন। যারা এসব কাজে অন্তর্ভুক্ত আছে এবং অপরাধী আছে তাদের শাস্তির যে বিধানটি তা আইন গত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

হাড়িয়া হোসেনপুর গ্রামবাসী এই ক্ষমতাশীন কামাল হোসেন মিয়াজির ক্ষমতার অত্যাচার ও ভূমি খেকো অবৈধ ড্রেজার মেশিনের নিস্তান চেয়ে,প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।