কলাপাড়ায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় বাংলাদেশ-ডেনমার্ক মৈত্রী-সেতুর কংক্রিটের ঢালাই ভেঙ্গে রড বের হয়ে গেছে

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি   ঃ  কলাপাড়ায়
চাকামাইয়া-টিয়খালী ইউনিয়নের  সংযোগ নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশ-ডেনমার্ক
মৈত্রী-সেতুর একটি পাইল এবং একটি পাইলের উপরের স্লাবের নিচের অংশ
বালুবহনকারী বাল্কহেডের থাক্কায় সেতুটির কংক্রিটের ঢালাই ভেঙ্গে রড বের
হয়ে গেছে, যে কোনোসময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশংকা এলাকাবাসীর।

চৌরাস্তার বাজার স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রমতে, শনিবার বালুবহনকারী ‘এমবি
সিরাজ এন্টার প্রাইজ এসমাইল এন্ড আজমাইলের’ ধাক্কায় সেতুর এমন ক্ষতিসাধন
হয়েছে। স্থানীয়রা এনিয়ে সেতুটির ক্ষতির শঙ্কা প্রকাশ করছেন। বাল্কহেডের
স্টাফরা জানায়, বালু খালাশ করে ফেরার পথে অসাবধানতাবশত সেতুর পাইল ও
স্লাবের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যায়। এবং বাল্কহেডটি সেতুর নিচে আটকে যায়।
ব্যবসায়ী রিয়াজ তালুকদার জানান, বালু বোঝাই এসব বাল্কহেড চলাচলের সময়
সেতুতে ধাক্কা লাগে। পাইল এবং পাইলের উপরের স্লাবের নিচের পাথরের ঢালাই
ভেঙ্গে  রড বের হয়ে গেছে (যার ওপরে গার্ডার সেট করা হয়েছে)।

টিয়াখালী-নিশানবাড়িয়া-চাকামইয়া দোন নদীর ওপর নির্মিত এ সেতুর এমন ক্ষতিতে
মানুষ ব্যাপক উদ্বেগ ও আশংকা প্রকাশ করেছেন। কলাপাড়া পৌরশহর থেকে
চাকামইয়া-তালতলী-তারিকাটাসহ কয়েকটি ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগের সেতুটি ২০১০
সালের ৭ জুলাই উদ্বোধন করা হয়। ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিঃ এইনার
হেবোগার্ড জেনসন সেতুটির উদ্বোধন করেন। ফলে হাজার হাজার মানুষ যানবাহন
চলাচলে এক নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটে। ডেনমার্ক সরকারের অর্থায়নে স্থানীয়
সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সেতুটি নির্মাণ করে।

কলাপাড়া এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মহর আলী জানান,
বাল্কহেডটি আটকে দেয়া হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান,
খবরটি শোনার পরেই স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং এলজিডির প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।