কর্তৃপক্ষের একটু সুনজর বদলে যেতে পারে কৃষকের ভাগ্য

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার জাংগালীয়া, মুক্তারপুর, জামালপুর ইউনিয়নে স্বাধীনতার ৫০ বছরে ও তেমন কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। তাই এলাকার বেশির ভাগ জনগন কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে।এই কৃষি নির্ভর এলাকার বেশিরভাগ জমি এক ফসলি।বোড়ো মৌসুমে ধান, সবজি সহ নানা ফলসের আবাদ হয়।তখন ঐ এলাকার কৃষকের ঘরে থাকে অনাবাদী সুখ।এ অবস্থা বিরাজ করে পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে চৈত্র মাসেরমাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ের পড়ে যখন কাল বৈশাখি শুরু হয় তাদের এই ফসলি জমি পানির নীচে চলে যায়  এবং জমির উপর নির্ভরশীল কৃষক সমাজ কাজের অভাবে বেকার হয়ে পড়ে  তাদের থাকেনা কোন আয়ের পথ তখন তাড়া হতাসায় দিন কাটায়।আর বিগত কয়েক মাসের ফলানো ফসল দিয়ে  কোন রকম দিনাতিপাত করে।

 অথচ যে জমি গুলি বছরের বেশিরভাগ সময় পানির নীচে তলিয়ে থাকে সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের একটু সুনজরে এ জমিগলো বছরের বেশিরভাগ সময় চাষের আওতায় আসতে পাড়ে।কেটে যেতে পাড়ে ঐ এলাকার কৃষকের হতাশা। সারা বছর চাষে ব্যাস্ত থেকে সুখময় হয়ে উঠার অপার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে গাজীপুর, আজমতপুর ইটাখোলা রাস্তার আজমতপুর চৌরাস্তা থেকে আওড়াখালী বাজার হয়ে জাংগালীয়া বাজার,দালান বাজার, নারগানা, চান্দেরবাগ,সাওরাইট বাজার হয়ে চসিন্দুর ব্রিজ এর পশ্চিম পাশে মিলিত হওয়া রাস্তাটি।এই রাস্তাটির দিকে একটু সুনজর দিলে বেরিবাধ হিসাবে ব্যাবহার করা যায়।তাতে ঐ এলাকার জমিগুলি হয়ে উঠবে সারা বছর চাষ উপযোগী।

শুধুই দরকার একটু সুনজর ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য সরকারের অনেক অর্থ খরচ করতে হবে না।বেরিবাধ হয়েই আচে।শুধু তিনটি ব্রিজের নীচে আটকিয়ে বর্ষার পানি যাতে ঠুকতে না পারে এবং অতি বৃষ্টি হলে পানি অপসারনের ব্যাবস্থা করলেই যথেষ্ট। তার জন্য প্রয়োজন কর্তৃপক্ষের একটু সুনজর।