করোনার উপদ্রবের মধ্যে চুনারুঘাটে চলছে মশার উৎপাত

চুনারুঘাট(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব মানুষজনকে ঘরবন্দি করে রেখেছে। উদ্বিগ্ন উপজেলাবাসীর জীবনের বেশির ভাগ সময়ই এখন ঘরের ভেতর শুয়ে বসে কাটছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বেড়ে চলা মশার উৎপাত ঘরে আটকে থাকা জীবনে অস্বস্তির মাত্রা আরো বাড়িয়ে তুলেছে। দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এটির সংক্রমণ ঠেকাতে নানা তৎপরতার মাঝে মশা নিধণের কার্যক্রম থমকে গেছে। ফলে করোনা সংকটের মুখে এডিস মশাবাহিত আরেক প্রাণঘাতি ভাইরাস ডেঙ্গুর বিষয়টি চাপা পড়ে গেছে। জানা যায়, গরম বাড়ার সাথে সাথে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মশার পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। তবে মশা নিধনে নিয়মিত কার্যক্রম না থাকায় পৌরসভা এলাকায় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরে ডেঙ্গুর প্রকোপে মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকেই পৌরসভায় মশার ওষুধ ছিটানো হয়। বর্তমান সময়ে প্রাণঘাতী করোনা  ভাইরাস সংক্রমণ। ফলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যস্ততা শুরু হয়। আর সঙ্গত কারণেই মশা নিধনে ওষুধ ছিটানোর বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায়। পৌর এলাকার গুচ্ছগ্রাম, বড়াইল, হাতুন্ডা, আমকান্দি, নয়ানী, গোগাউড়া এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাতের পাশাপাশি এমনকি দিনের বেলাতেও উৎপাত চালায় মশা।  সন্ধ্যার পর গুণগুন করে গান গাইতে শুরু করে মশার দল। প্রতিকারের জন্য কয়েল জ্বালানো বা মশা মারার কোন ওষুধ না ছিটালে শুরু হয় ‘মশার অ্যাকশন’। ক্ষুদ্র পতঙ্গটির কামড়ে নাভিশ্বাস ওঠার দশা হয়। এব্যাপারে পৌর এলাকার আব্দুল জলিল, আব্দুল হক, মোজাম্মেল হক, আয়াত আলী ও নুর মোহাম্মদ জানান, মশার অত্যাচারে সন্ধ্যার আগেই ঘরের জানালা দরজা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে নিস্তার মিলছে না। ছোট বাচ্চাদের যাতে মশায় না কামড় দেয় এজন্য হাতে সব সময় মশা মারার ব্যাট রাখতে হচ্ছে। জানাযায়, করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পৌরশহর পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য কাজ করছে পৌরকর্মীরা। করোনার বিস্তার ঠেকাতে পৌরশহরে প্রতিদিনই নিয়ম করে জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজ করা হচ্ছে। ফলে মশক নিধনে ভাটা পড়ে গেছে। এবিষয়ে চুনারুঘাট পৌর মেয়র মোঃ নাজিম উদ্দিন শামসু জানান, বর্তমানে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডে জীবাণুনাশক ছিঠানো হচ্ছে। করোনা সংকটের এই মুহুর্তে অগ্রাধিকার দিয়ে জীবাণুনাশক ছিটানোর এই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পৌরসভায় মশক নিধনে ইতিমধ্যে পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডে মশার ওষুধ ছিটানো হবে বলে তিনি জানান।