কচ্ছপিয়ায় ভাইয়ের হামলায় ভাই আহত ভাংচুর ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,নাইক্ষ্যংছড়িঃ কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীর কাটা স্যাইরা পাড়া এলাকায় খাস দখলিয় বসতভিটার বিরুদ্ধের জের ধরে ঐ এলাকার মৃত শাহাব মিয়ার ছেলে ছোট ভাই মোঃ জহির আলম ও সমশুল আলমের হামলায় রক্তাক্ত জখম হয়েছেন বড় ভাই শাহ আলম (৪৬)। এ দিন ঘটনার সময় ছোট ভাইসহ আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী শ্রেনীর লোক স্বশস্ত্র হামলা ও পরিকল্পিতভাবে দা দিয়ে কুপিয়ে ও রড়ের আঘাতে বড় ভাইকে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে তার কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন ভিকটিম শাহ আলম।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত শাহ আলমকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীতে অবগত করেন। এর পর কক্সবাজার সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে আহত শাহ আলম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে বড় ভাই এ ঘটনায় জড়িত ছোট ভাইদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না করায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের আটক করেন নি।

এদিকে রবিবার (১৭ নভেম্বর) বড় ভাই হাসপাতালে থাকা অবস্থায় এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছোট ভাই জহির ও সমশু সন্ত্রাসী কায়দায় দলবল নিয়ে শাহ আলমের গোয়াল ঘর ও গরুর জন্য রক্ষিত খড়ের গাদা (কুইজ্জা) ভেঙ্গে পেলেন। এ প্রতিবেদকের কাছে স্থানীয় মুরুব্বী ফরিদুল আলম,নজির আহাম্মদ মারামারির সত্যতা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ ( আইসি) মোঃ আনিসুর রহমান বলেন অভিযোগ পেলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত জহির ও সামশু বলেন,বিরোধীয় জমিটি খাস হলেও তাদের পিতার দখলে ছিল। পিতা মারা যাওয়ার পর হইতে শাহ আলম একা ভোগদখল করে আসছেন। তারা সমাজে বিচার দেওয়ার পর দখল না ছাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় আমরাও আহত হয়। তবে শাহ আলম বলেন এটা খাস জায়গা আমি আব্বার আমল থেকে দখলে আছি। তারা প্রভাবশালী ব্যক্তির ইন্ধনে আমাকে মারধর করে জোরপূর্বক এ জায়গা দখল করে নেন।

স্থানীয়দের মতে বিষয়টি দ্রুত নিরসন না হলে তাদের মধ্যে আরো বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।