ওয়ানডেতে ওভার কমানোর পক্ষে মত আফ্রিদি-শাস্ত্রীর

অতিরিক্ত খেলা নিয়ে চাপে ক্রিকেটাররা।তাই বলে ওয়ানডে বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে নন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক। এই ফরম্যাটকে আকর্ষণীয় করতে ৫০ ওভারের পরিবর্তে ৪০ ওভারে নামিয়ে আনার আফ্রিদির পরামর্শে একমত পোষণ করেছেন ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রীও।

ওয়ানডে ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শহীদ আফ্রিদিও বলেছেন, ওয়ানডে ক্রিকেটটা ৫০ ওভারের জায়গায় ৪০ ওভারে নামিয়ে আনা যায়। বেন স্টোকসের ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সামা টিভির সঙ্গে সম্প্রতি এ কথা বলেন আফ্রিদি। সেখানেই তিনি এমন পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, ওয়ানডে ক্রিকেটটা এখন অনেকটাই একঘেয়ে হয়ে গেছে। আমি তো বলব ওয়ানডে ক্রিকেটটা ৫০ ওভার থেকে ৪০ ওভারে নামিয়ে আনতে। এতে এটা আরও আকর্ষণীয় ও বিনোদনদায়ী হবে।’

এ বিষয় আফ্রিদির সতীর্থ ওয়াসিম আকরাম বলেন, ওয়ানডে ক্রিকেট এখন ঠেলেঠুলে চলছে। শাস্ত্রীর কথা, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির চাপে পিষ্ট হচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেট। ওয়াসিম, শাস্ত্রী ও অশ্বিনের এমন মন্তব্যের পরই উঠেছে আলোচনার ঝড়। শাস্ত্রী অবশ্য ওয়ানডে ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখার একটি পরামর্শ এর আগে দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের ওপর আরও বেশি জোর দিতে হবে, বিশ্বকাপকে করে তুলতে হবে আরও আকর্ষণীয়।

একসময়ের রোমাঞ্চকর ওয়ানডে ক্রিকেট এখন টি-টোয়েন্টির যুগে এসে অর্থহীন মনে করছেন আকাশ চোপড়া।

এবার আফ্রিদির এ কথার সঙ্গে এবার কণ্ঠ মিলিয়েছেন শাস্ত্রী। ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে চলার সময় ধারাভাষ্য দেওয়ার এক ফাঁকে শাস্ত্রী বলেন, ‘ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনলে কোনো ক্ষতি নেই। ওয়ানডে ক্রিকেট যখন শুরু হয়, তখন এটি ছিল ৬০ ওভারের। আমরা ১৯৮৩ সালে যখন বিশ্বকাপ জিতি, তখনো ৬০ ওভারের ছিল ওয়ানডে ক্রিকেট।’

শাস্ত্রী বলেন, ‘কর্মকর্তারা ভাবলেন, ৬০ ওভার একটু লম্বা সময়ই। দেখা গেল ২০ থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত সময়টা একটু একঘেয়ে। এ কারণে সেটি তারা ৬০ থেকে ৫০ ওভারে নামিয়ে আনেন। এর পর তো অনেক বছর হয়ে গেল। এখন কেন এটাকে ৫০ থেকে ৪০ ওভারে নামিয়ে আনা যাবে না!’